মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করছেন বলে চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু জানিয়েছেন।
ধর্মঘটের কারণে বন্দরে শুল্ক বিভাগের কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ হয়ে রয়েছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টমসে কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি। তবে আগে দাখিল করা বিল অব এন্ট্রির আমদানি পণ্য খালাস ও রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ চলছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও কর্মচারীদের ধর্ঘটের কারণে বুধবার থেকে বন্দরে পণ্য খালাসে সমস্যা হতে পারে বলে বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
কর্মসূচির বিষয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের হয়রানি, চট্টগ্রামের আমদানিকারকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ, কাস্টমসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও তাদের কর্মচারীদের প্রতি দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে আমরা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।
“মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ঠেকাতে সম্প্রতি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার। আমদানিকারকদের অন্যায়ের দায়ভার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা কেন নেবে- এটি অন্যায় ও অযৌক্তিক।”
চিঠি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আচরণসহ আটদফা দাবিতে চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও কর্মচারী ইউনিয়নের আন্দোলন চলবে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে মন্তব্য জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।