‘মুজিববর্ষের’ ক্ষণগণনার উদ্বোধন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন শুক্রবার সারা দিন বন্ধ ছিল মেলা, তার আগের দুই দিনেও আধাবেলা করে বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
শনিবার সরকারি ছুটির দিনে সকাল থেকেই যেন সেই সেই বন্ধ থাকার আক্ষেপ পুষিয়ে নিয়েছে মেলা। সকাল ১০টায় মেলার দরজা খোলার পর ১১টার মধ্যেই সরগরম হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ।
দুপুরের মধ্যে মেলার অলি-গলি দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠে, যা সাধারণত অন্য সময়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোর বিকালে দেখা যায়।
মেলার পূর্বপ্রান্তে ইরানি মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ী বাদল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার মেলা আধাবেলা করে বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার তো আগুন লাগার পর সন্ধ্যার মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এবার মেলার শুরুর দিকটা খুব খারাপ গেছে।
“আজকে সকাল থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দেখা গেছে। কিছুটা বেচা-বিক্রিও হচ্ছে। আজকে একটা ভালো বিক্রির আশা করছি।”
এই স্টলের বিক্রয়কর্মী অভি জানান, এতোদিন এই কোম্পানি সাগরে মাছ ধরার জাল ও রশি তৈরি করছিল। এবার তারা প্লাস্টিকের তৈরি বিশেষ ধরনের শীতল পাটি নিয়ে এসেছেন। প্লাস্টিকের পাটির ভেতরে শক্ত ফোম বসিয়ে বিশেষ ধরনের স্লিপিং মেট (প্রতিটি ১৩০০ টাকা), শীতল পাটি, জায়নামাজ, ওয়াল মেট নিয়ে এসেছেন তারা। প্রতি বর্গফুট ৫০ টাকা দরের এই রঙিন ওয়াল পেপার পাকা ঘরের দেওয়ালে সেঁটে দিলে তাদের আর রঙ করতে হয় না।
এবার মেলা শুরুর তৃতীয় দিনেও অধিকাংশ স্টলের কর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন নির্মাণ ও পণ্য সাজানোর কাজে। মেলার ১১তম দিনেও দু-চারটি স্টলে দেখা গেল প্রস্তুতির কাজ।
মিরপুর থেকে স্ত্রী, বোনসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে মেলায় আসা তুহিন বলেন, “এ বছর আজই প্রথম মেলায় আসলাম। গতকাল আসার ইচ্ছে থাকলেও পরে শুনতে পারি মেলা বন্ধ রয়েছে।
মেলায় আসবাব ও দেশীয় পোশাকের প্যাভিলিয়নগুলোতেই বেশি ভিড় দেখা গেছে। কয়েক বছর আগে বাজারে আসা স্নোটেক্স গার্মেন্টের ব্র্যান্ড ‘সারা’-এর প্যাভিলিয়নে দুপুর থেকে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।