ফিরে দেখা ২০১৯: পেঁয়াজে একাকার নাকের জল-চোখের জল

বাঙালির হেঁসেলের কাটাকুটিতে পেঁয়াজ রাঁধুনির চোখে জল আনলেও এবার তা গৃহকর্তাকেও ভুগিয়েছে; ৩০ টাকার পেঁয়াজ ২৫০ টাকায় উঠে নজিরবিহীন এক পরিস্থিতির তৈরি করেছে।

ফয়সাল আতিকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2019, 02:01 PM
Updated : 28 Dec 2019, 02:23 PM

মওসুমের শেষ দিকে এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে খাবারে পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়েছে অধিকাংশ পরিবার, এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাঁধুনিকেও এ নিয়ে ভাবতে হয়েছে।

এবার পেঁয়াজের যে দর উঠেছে, এ রকম অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সাম্প্রতিক সময়ে দেখেনি বাংলাদেশের মানুষ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগের দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দেশ শাসনে পেছন থেকে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন। সে সময়ের সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ ভাতের ওপর চাপ কমাতে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন।

এরপর নিত্যপণ্যের বাজারে এবারই প্রথম পেঁয়াজ সঙ্কট ও মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের মন্ত্রীরাও রান্নায় তার ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন, যা বিরোধী রাজনীতিকদের আক্রমণের হাতিয়ার হয়েছে।  

পেঁয়াজের ঝাঁঝ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক মূল্যস্ফীতিও বাড়িয়ে দিয়েছে। ৩০ টাকার পেঁয়াজ আড়াইশ টাকা হওয়া নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ হয়েছে প্রচুর। ক্ষেপে গিয়ে অনেকে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও চেয়েছেন।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতার জন্য আমলারা প্রথম দিকে দায়ী করেছেন ‘অসাধু’ ব্যবসায়ী-আমদানিকারক আর আড়ৎদারদের। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরবরাহ ঘাটতি নিয়ে সরকারকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল, সময়ের কাজ সময়ে করলে পরিস্থিতি এত খারাপ হত না।

দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ বার বার হোঁচট খাওয়ার পর সঙ্কট সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত পেঁয়াজকে চড়াতে হয়েছে বিমানে; স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উড়োজাহাজে চড়ে দেশে পেঁয়াজ এসেছে। কিন্তু তাতেও গড়পড়তায় ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজকে আড়াইশ টাকার ঘর থেকে খুব বেশি একটা নামানো যায়নি।

পেঁয়াজের এই সঙ্কটের জন্য খুচরা ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, সরবরাহকারী, আড়তদার এমনকি সরকারের দায় রয়েছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, এটি এই অঞ্চলের বাজার সঙ্কটের কারণে হয়েছে। আর বাংলাদেশ বেশি বেকায়দায় পড়েছে ভারত আশ্বাস দিয়ে তা ভঙ্গ করার কারণে।

পেঁয়াজের সঙ্কট শুধু বাংলাদেশে নয়, আশপাশের দেশগুলোতেও এই খাদ্যপণ্যের দাম কয়েক গুণে বেড়েছে। মূলত বাংলাদেশে পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় যোগানদার ভারতে মওসুমে বৈরী আহ্বাওয়ায় দুই দফায় পেঁয়াজের ফলন মার খাওয়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

যেভাবে দাম বাড়া শুরু

বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতার শুরু সেপ্টেম্বর থেকে । প্রথমে ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত রপ্তানি মূল্য দ্বিগুণ করে প্রতি টন ৮৫০ ডলার করার পরের সকালেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় ঢাকার বাজারে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম।

প্রতি কেজি ৩০ টাকা থেকে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের মূল্য মাস শেষে শতকের ঘর অতিক্রম করে। অক্টোবর মাসজুড়ে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি দেড়শ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ওই মাসের শেষ দিকে সরকার মিয়ানমার থেকে আমদানি বাড়িয়ে দাম আবার একশ টাকার কাছাকাছি নিয়ে আসে। তবে নভেম্বরের ৯ তারিখে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে নিয়ন্ত্রণের সেই চেষ্টাও লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। নভেম্বরের ১৪ তারিখে ২০০ টাকার ঘর অতিক্রম করে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম। আর এতেই অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ হয়ে যায়। পরে সেই পেঁয়াজের দাম পৌঁছে যায় আড়াইশ টাকায়।

এর আগে ২০১৭ সালে মওসুমের শেষ দিকে সঙ্কট শুরু হলে পেঁয়াজের দাম ১৭০ টাকায় পৌঁছেছিল। আর এবার নভেম্বরের শেষে পেঁয়াজের দাম আড়াইশ টাকার ঘরে চলে যায়।

কোনো দিন পেঁয়াজের ব্যবসা না করা বড় বড় কয়েকটি কোম্পানি উদ্যোগী হয়ে চীন, মিশর, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর সেই মূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম পড়ে দাম কমেছে বেশ কিছুটা। তারপরেও এখন ভরা মওসুমে ১০০ টাকার আশপাশে পেঁয়াজ কিনে খেতে দেশের মানুষকে।

নিত্যপণ্য পেঁয়াজের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিও বাড়িয়ে তুলেছে। গত নভেম্বর মাসে দেশে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ; আগের বছরের নভেম্বর মাসে তা ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির এই বৃদ্ধির পেছনে পেঁয়াজই মূল ভূমিকা রেখেছে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন।

দায় এড়াতে পারে না কোনো পক্ষই

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ে এককভাবে কোনো পক্ষকে এখন আর দায়ী করছেন না চলতি বছরই প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

নানামুখী উদ্যোগেও যখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, সেই সময় ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “পেঁয়াজের সমস্যাটা সাপ্লাইয়ের সমস্যা। সাপ্লাই কম তাই দাম বাড়ছে। সাপ্লাইতে যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু সুযোগ সন্ধানি তার সুযোগটা নেয়। আমরা যদি সাপ্লাইটা ঠিকমতো রাখতে পারতাম তাহলে তারা এই সুযোগটি নিতে পারত না।”

পেঁয়াজ যেন হয়ে ওঠে মহার্ঘ্য

দেশে পেঁয়াজের এই সঙ্কটের পেছনে ভারতেরও ভূমিকা রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘২৯ সেপ্টেম্বর তারা রপ্তানি বন্ধ করলেও ২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর তা আবার চালু হবে বলেই আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসায়ীরা দূরের বিকল্প পথ মিশর কিংবা তুরস্ক থেকেও বড় চালান আনতে সাহস করেনি। ২৮ অক্টোবরও যখন তারা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলল না তখন আমরা বড় বিকল্প খুঁজতে শুরু করলাম।

“কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিপদ হচ্ছে মিশুর-তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আনতে ৪০ থেকে ৫০ দিন সময় লেগে যায়। এদিকে বাজারে সঙ্কটের কারণে দ্বিতীয় বিকল্প মিয়ানমারে পেঁয়াজের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায়। তারা (ভারত) যদি এক মাস আগে জানাত তাহলে আমরা বিকল্প মার্কেট থেকে খোঁজ করতে পারতাম।”

মন্ত্রীর এই কথা মেনে নিয়েই পেঁয়াজ বাজারে অস্থিরতার জন্য সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ঘাটতিকে দুষছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেল, সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পেঁয়াজের সঙ্কটের জন্য কিছু ব্যবসায়ীর দায় রয়েছে। আবার সরকারেরও এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের দায়ভার রয়েছে।

“পণ্যের সরবরাহ ঘাটতির কারণে দাম বাড়ে এটা একেবারেই সরল কথা। তবে দাম যে সরবরাহ সঙ্কটকে ছাড়িয়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যার দায়ভার ব্যবসায়ীদের। বিশেষ করে যেসব ব্যবসায়ীরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে তাদের। অনেক ব্যবসায়ীর বক্তব্যেও এই বিষয়টি উঠে এসেছে।

“এই ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বাজার ও বিশ্ববাজার সম্পর্কে তাদের কাছে বাস্তবসম্মত কোনো তথ্য উপাত্ত ছিল না, যেটা কি না থাকার প্রয়োজন ছিল। সরকার পেঁয়াজের ক্ষেত্রে কেবল ভারতের বাজারের ওপর নির্ভর করে থেকেছে।”

সরকারের দায়ভারের আরও ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “সঙ্কট যখন দৃশ্যমান হয়েছে তখনও সরকার পদক্ষেপগুলো নিয়েছে অনেক বিলম্বে। অনেক ক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যবসায়ীদেরকে তড়িৎভিত্তিকে নতুন আমদানি বাজার তৈরি করে দিতে পারেনি।

“পেঁয়াজের বাজার কারসাজির জন্য সরকারকে কিছু জেল-জরিমানা করতে দেখা গেছে। কিন্তু যেহেতু সরকারের ওপর ব্যবসায়ীদের একটা প্রভাব রয়েছে, তাই প্রকৃত ব্যক্তিরা এই ক্ষেত্রে পার পেয়ে গেছেন বলে মনে হয়। আর শাস্তির মুখে পড়েছেন মধ্যম মানের কিছু ব্যবসায়ী। সরকার ব্যবসাবান্ধব হবে তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু ব্যবসায়ীবান্ধব হওয়া যাবে না।”

গরুর মতো পেঁয়াজেও স্বাবলম্বী হওয়ার আশা

ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়ার পর কয়েক বছরে দেশে গরু উৎপাদন যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়ে স্বাবলম্বী হওয়ার আশা করছেন সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।

কীভাবে তা হতে পারে তার একটা রূপরেখাও দিয়েছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বর্তমানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ।

পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে কমিটির এক সভার পর তিনি বলেন, “ভারত গরু বন্ধ করে দিল। আমাদের দেশের মানুষ গরু পালতে শুরু করল, আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।

“এখন পেঁয়াজের দাম বাড়ল। আমরা মনে করি, আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ বাড়ির খোলা জায়গায় পেঁয়াজ চাষ করবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ইনশাল্লাহ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করব।”

তার মতো আশাবাদী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্যাকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে চাইছেন।

ওই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “কখনও কখনও বিপদ সম্পদে রূপান্তর করা যায়। এই বিপদ আমাদের সম্পদে রূপান্তরিত হবে। আগামী বছর থেকে ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের পরিকল্পনা করতে হবে।

“এজন্য পেঁয়াজের ক্ষেত্রে শূন্য সুদে ঋণ দেওয়া যায় কি না চিন্তা করছি। এখন ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়। যেভাবেই হোক কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। সংরক্ষণ ক্যাপাসিটিও বাড়াতে হিমাগার তৈরির তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি মওসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখে কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হবে।”

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বর্তমানে দেশে বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৮ লাখ টন। চাহিদা মেটাতে আমদানি করতে হয় ১০-১১ লাখ টনের মতো। 

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে এই প্রতিবাদ গাইবান্ধায়

পেঁয়াজ নিয়ে যত কাণ্ড

৬ সেপ্টেম্বর: দেশি ৫৫, ভারতীয় ৪৫

১৩ সেপ্টেম্বর: দেশি ৬০, ভারতীয় ৫৫

১৩ সেপ্টেম্বর: পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ ভারতের

১৫ সেপ্টেম্বর: দেশি ৭০ টাকা, ভারতীয় ৬০ টাকা

১৭ সেপ্টেম্বর: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে: ঘোষণা ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল বেরুনির

১৯ সেপ্টেম্বর:  দেশি ৮০ টাকা, ভারতীয় ৭০ টাকা

২৯ সেপ্টেম্বর: পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

২৯ সেপ্টেম্বর: দেশি ৯০ টাকা, ভারতীয় ৮০ টাকা

৩০ সেপ্টেম্বর: মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর থেকে পেঁয়াজ আসছে, মিশর থেকে পেঁয়াজবাহী দুটি জাহাজ বন্দরে এসেছে, চিন্তার কারণ নেই: বাণিজ্য সচিব

৩০ সেপ্টেম্বর: দেশি ১১০ টাকা, ভারতীয় ৯০ টাকা

১ অক্টোবর: দাম নিয়ন্ত্রণে জেলায় জেলায় মন্ত্রণালয়ের অভিযান

২ অক্টোবর: পেঁয়াজ আমদানিকারকদের জন্য ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

৩ অক্টোবর: চট্টগ্রামে আড়তে অভিযানের পর ভারত ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকায় নামে।

৪ অক্টোবর: দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে দাম ২০ টাকা কমে ৭৫ টাকা, খুচরায় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা

১৩ অক্টোবর: দেশি পেঁয়াজ ফের ১১০ টাকা, ভারতীয় ১০০ টাকা

১৪ অক্টোবর: সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপ পেঁয়াজ আমদানিতে নামছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

 ১৭ অক্টোবর: ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে মিলছে দেশি, ভারতীয় ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ

২৫ অক্টোবর: দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা

২০ অক্টোবর: মিশর তুরস্কের পেঁয়াজ আসতে আরও ১০ দিন লাগবে: বাণিজ্য সচিব

১ নভেম্বর: দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১২০ টাকা

৮ নভেম্বর: মিশর, তুরস্ক, চীনের পেঁয়াজ ৬০ টাকা, মিয়ানমার ৮০ টাকা, দেশি ৯০ টাকা বেঁধে দিল শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা

১১ নভেম্বর:  বাজারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ধাক্কা, দাম আবার ১৩০ টাকা

১২ নভেম্বর: দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা

১৪ নভেম্বর: পেঁয়াজের দাম ২২০ টাকা

১৫ নভেম্বর: উড়োজাহাজে পেঁয়াজ আনার সিদ্ধান্ত: বাণিজ্য সচিব

১৬ নভেম্বর: দেশি পেঁয়াজ ২৫০, মিয়ানমার ২২০

১৭ নভেম্বর: দেশি পেঁয়াজের দাম কমে ২৩০ টাকা, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০ টাকা

১৮ নভেম্বর: বাজার কারসাজির দায়ে আড়াইহাজার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: বাণিজ্য সচিব

১৮ নভেম্বর: পাইকারিতে দাম কমেছে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। দেশি-মিয়ানমার ১৫০ টাকা। মিশর ১০০ থেকে ১২০ টাকা

১৯ নভেম্বর: পাকিস্তান থেকে উড়োজাহাজে আসল পেঁয়াজ