পাটকল আন্দোলন:‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায়’ বৈঠক বসছে

বকেয়া-বেতন ভাতা পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত সঙ্কট নিরসনে ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা’ অনুযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2019, 12:07 PM
Updated : 15 Dec 2019, 12:07 PM

রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশে পাটকল করপোরেশনের মিলগুলোর সমস্যা নিরসনে এক সভা শেষ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে জুলাই মাস থেকে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে যে আন্দোলন চলছে, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এখন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করা হবে। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তাদের সাথে আলাপ করে তা জাননো হবে। তার পর সাংবাদিকদের জানানো হবে।” 

তবে প্রধানমন্ত্রী কি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন- সে বিষয়ে কিছু বলেননি মুন্নুজান সুফিয়ান।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দন্তগীর গাজী বলেন, “বিকেলে মতিঝিল বিজিএমসি অফিসে বৈঠক হবে। যে নির্দেশনা পেয়েছি তা শ্রমিকদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকরা গত ২৩ নভেম্বর থেকে মিছিল-সমাবেশ ও ধর্মঘটের মত কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

পাটকলে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীত্বের সিদ্ধান্ত বাতিল, কাঁচা পাট কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করার দাবি রয়েছে এই ১১ দফার মধ্যে।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের মধ্যে ১২টির শ্রমিকরা গত ১০ ডিসেম্বর আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। রাজশাহীতে একটি, খুলনা অঞ্চলে নয়টি, নরসিংদীতে একটি ও চট্টগামে একটি পাটকলের শ্রমিকরা এ আমরণ অনশনে যোগ দেন।

এর মধ্যে খুলনায় অংশ নেওয়া এক শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া অন্যান্য জায়গার মত রাজশাহীতেও অনশন চলাকালে বেশ কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে সাতজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরণ অনশন কর্মসূচি তিন দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। রাজশাহীর প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, ১৫ ডিসেম্বরের দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে আবারও অনশন শুরু করবেন তারা।