ডিগ্রি ও চাকুরির জন্য শিক্ষার ব্যবধান কমাতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চাকুরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রকৃত শিক্ষা ও ডিগ্রির জন্য শিক্ষার মধ্যে ব্যবধান কমাতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2019, 07:12 PM
Updated : 7 Dec 2019, 07:12 PM

বাংলাদেশের পাঠ্যক্রম চাকুরির জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআই আয়োজিত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে শ্রমনির্ভর চাকুরির বাজার সংকুচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতের কাজের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল-এনএসডিসিকে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “প্রতিবছর আঠারো থেকে বিশ লাখ চাকুরি প্রত্যাশী বাজারে আসছেন। এ বিপুল সংখ্যক চাকুরি প্রত্যাশীর মধ্যে চৌদ্দ লাখ লোককে সরকারের বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় কল-কারখানা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য কর্মযোগ্য করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।”

ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসিরের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।

মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নের যে কর্মসূচি এটা ভালোভাবে চলমান। দক্ষতা উন্নয়নের কোনো সর্বশেষ গন্তব্য বলে কিছু নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা সব সময় চলতে থাকবে।

“আর বাংলাদেশে এই জিনিসটি খুব ভালোভাবেই চলমান আছে। তবে সামনে এটিকে যেন আরও বেগবান করার যায়। এর মধ্যে যেন সবাইকে সম্পৃক্ত করা যায়। আমরা সেভাবে কাজ করছি। আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের যে দক্ষতার যে চাহিদা আছে আমরা তা পূরণ করতে সমর্থ হব।”

সেমিনারে ডিবিআই ও এআইইউবির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।