শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে শিশুদের সৃষ্টিশীলতার বিকাশে আয়োজন করা হয় ‘ফ্রেশ টিস্যু পটুয়ার উৎসব’ নামের এই উৎসব।
শিশু, অভিভাবক, শিল্পী ও বিচারকসহ প্রায় ১ হাজার মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শিশুরা শ্রেণী ভেদে তিনটি শাখায় ভাগ হয়ে ছবি আকেঁন। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ, ৪র্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ এবং ৭ম থেকে ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ‘গ’ গ্রুপের অর্ন্তভুক্ত হয়ে ছবি আকেঁন।
‘ক’ গ্রুপের শিশুদের ইচ্ছে মত ছবি আকার স্বাধীনতা দেয়া হয়। শিশুরা নিজেদের ইচ্ছেমতো রংতুলির আঁচড়ে রঙ্গিণ করে তোলেন ক্যানভাস। নিজেদের মনের ভাবনা আর স্বপ্নগুলো রংতুলির রঙ্গে রাঙ্গিয়ে তোলেন তারা।
‘খ’ গ্রুপের শিশুরা ক্যানভাসে মহান মুক্তযিুদ্ধকে তুলে ধরেন। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামের চিত্র ক্যানভাসে ফুটে ওঠে তাদের ছবিতে।
‘গ’ গ্রুপের শিশুরা তুলে ধরেন তাদের চোখে পৃথিবীটা দেখতে কেমন হবে।
চিত্রাঙ্কণ এই উৎসবটির শেষে প্রত্যেকটি শাখায় তিনজন করে মোট নয়জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিজয়ীদের ছবি দিয়ে ফ্রেশ টিস্যু বাক্সের নকশা করা হবে।
চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পী জামাল আহমদে, নাজির খান, আসমিতা আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন।
মেঘনা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।