আগামী দুই বছরের জন্য এ সব প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত শুল্ক দিয়ে সোনা আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞাপনের পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। তাদের মধ্য থেকে আপতত ১৮ জনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের পর বেশ কিছু ব্যবয়সায়ীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সেগুলো যাচাই বাছাই করে আপাতত ১৮ জনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
রোববার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে লাইসেন্সের কপি হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান সিরাজুল ইসলাম।
এতে প্রতি বছর বড় অঙ্কের রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে গত বছরের অক্টোবরে সোনা আমদানির নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ওই নীতিমালার আওতায় আমদানির ডিলারশিপের লাইসেন্স দিতে চলতি বছরের ১৯ মার্চ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে সারা দেশ থেকে ৪৭টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে দুটি ব্যাংক ও ৪৫টি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৈধ পথে আমদানি শুরু হওয়ার দুই-তিন বছর গেলে বোঝা যাবে দেশে আসলে সোনার চাহিদা কতো?
নিজের প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লাইসেন্স পাওয়ার কথা স্বীকার করে আগরওয়ালা বলেন,যে ১৮টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পেয়েছে তারমধ্যে ঢাকার বাইরেরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মধুমতি ব্যাংক এবং ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ছাড়া অন্য যে ১৬টি প্রতিষ্ঠান সোনা আমদানির লাইসেন্স পেয়েছে সেগুলো হচ্ছে- জুয়েলারি হাউস, রত্ন গোল্ড কর্নার, অ্যারোসা গোল্ড কর্পোরেশন, আমিন জুয়েলার্স, শ্রীজা গোল্ড প্লেস, জড়োয়া হাউস, মিলন বাজার, এসকিউ ট্রেডিং এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এম কে ইন্টারন্যাশনাল, আমিন জুয়েলার্স, বুরাক কমোডিটিস এক্সচেঞ্জ, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্স, রিয়া জুয়েলার্স, লক্ষ্মী জুয়েলার্স, বিডিইএক্স গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড এবং ডি ড্যামাস দ্য আর্ট অব জুয়েলারি।