পেট্রোলপাম্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিপিসি

দেশের তিন বিভাগে ধর্মঘটে থাকা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসেসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসেছে জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2019, 07:26 AM
Updated : 2 Dec 2019, 07:26 AM

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ানবাজারে বিপিসির লিয়াজোঁ কার্যালয়ে কোম্পানির পরিচালক (বিপণন) সৈয়দ মেহদী হাসানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়।

ধর্মঘটে ডাক দেওয়া বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম, মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন, পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মোমিন দুলাল, পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগের সহ-সভাপতি এম মাহবুবুল আলম, সিনিয়ন সহ সভাপতি মোহাম্মদ সোবহান আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরদা হোসনেসহ রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর ও খুলনা অঞ্জলের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত আছেন।

তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটে রোববার সকাল থেকে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির ডাকে ২৬ জেলায় অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতির কারণে তেলে চালিত যানবাহন চলাচল একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে।

তাদের ১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ কমিশন দেওয়া,  জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের জন্য ৫ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা,  ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণের নিয়ম বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট করা, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল করা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা নেওয়ার নিয়ম বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম বাতিল, আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামূলকভাবে ক্যালিব্রেশনের নিয়ম বাতিল, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ছাড়া ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ করা, নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানী তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু করা, পেট্রোল পাম্পের পাশে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তিপত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা এবং বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।

বিপিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, যেসব দাবি করা হচ্ছে, তার মধ্যে ৩/৪টা ছাড়া বাকিগুলোর সঙ্গে বিপিসির কোনো সম্পর্ক নেই।

“যেসব দাবির সঙ্গে বিপিসির সম্পর্ক রয়েছে সেগুলো নিয়েই আলোচনা হবে। দাবিগুলো বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।”

আর পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মোমিন দুলাল বৈঠকের আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈঠকে আমাদের দাবি নিয়ে আলোচনা হবে। যদি সন্তোষজনক আলোচনা হয়, তাহলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”