রোববার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই কমিটি গঠনের দায়িত্ব গভর্নর ফজলে কবিরকে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আজকের মধ্যেই’ সেই কমিটি গঠন করা হবে।
সন্ধ্যায় গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটির ঘোষণা দেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ্ আল মাসুদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ার এবং এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন।
কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংক ঋণের সুদহার কমানোর প্রক্রিয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি চাইলে সদস্য সংখ্যাও বাড়াতে পারবে, এমন এখতিয়ার তাদের দেওয়া হয়েছে।
দুপুরে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কমিটি গঠনের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
কীভাবে সুদের হার কমানো হবে, তার কৌশল ঠিক করে কমিটিকে সাত দিন সময় দেওয়ার কথাও বলে দিয়েছিলেন তিনি।
বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ ও আমানতের সুদের হার ৬ শতাংশে রাখতে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়ী মহলের দাবি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার এবিষয়ে নির্দেশনা দেন।
গত অগাস্টে ঋণ ও আমানতের সুদহার যথাক্রমে ৯ ও ৬ শতাংশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে তাগাদা দেওয়া হলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
ব্যাংকগুলো এখন ছয় থেকে থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে আমানত সংগ্রহ করছে এবং ঋণের শ্রেণিভেদে সাড়ে ৯ সাড়ে ২০ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করছে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে খেলাপি ঋণ কমানোর ঘোষণা দিলেও তা না কমে উল্টো বেড়ে যাওয়ায় মুস্তফা কামাল মনে করছেন, সুদ হার কমালে মন্দ ঋণ স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে।