রেমিটেন্স: জনতা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করবে আমিরাতের ব্যাংক

আমিরাত থেকে রেমিটেন্স পাঠানোর সুবিধায় জনতা ব্যাংকের সঙ্গে দেশটির একটি ব্যাংক চুক্তি করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2019, 05:00 PM
Updated : 27 Nov 2019, 05:00 PM

ঢাকায় আমিরাতের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আলির নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার বৈঠকের পর একথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরএকে ব্যাংক আমাদের দেশীয় কোনো ব্যাংকের সাথে পার্টনারশিপে রেমিটেন্স প্রেরণে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণ অনেক গুণ বেড়ে যাবে। কেননা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের প্রচুর রেমিটেন্স প্রেরণকারী রয়েছে।

“আমিরাত আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী দেশ, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রেরণ করেছে। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ করেন, যেটা তাদের জন্য এবং দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।”

বাংলাদেশে অর্থনীতির চালিকাশক্তি হল প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স। তবে যে পরিমাণ রেমিটেন্স আসার কথা তার অর্ধেকও বৈধ পথে আসে না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এটা না আসার কারণটা হল সেখান থেকে রেমিটেন্স পাঠানোর কোনো সহজ রাস্তা নেই। সেজন্য প্রবাসীরা ভিন্ন পথে রেমিটেন্স পাঠায় এটাকে বৈধ পথে আনার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

“আমাদের জনতা ব্যাংক আরব আমিরাত থেকে তাদের শাখার মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের শাখা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। আরএকে ব্যাংকের প্রচুর শাখা রয়েছে। তারাও আমাদের দেশের একটি শক্তিশালী ব্যাংক খুঁজছে, যাতে করে তারা তাদের সহায়তায় রেমিটেন্স প্রেরণ করতে পারে। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে তারা এ কাজটি করতে পারবে।  জনতা ব্যাংকেরও ভালো হবে।”

বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এডিবির আবাসিক পরিচালক মনমোহন পারকাশ এবং মিশন লিডার পিয়ের ফন পিটহেমস।

তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী বলেন, “এডিবি আমাদের দেশে শিল্পায়নে বিকল্প উৎস হিসাবে অর্থায়ন করতে আগ্রহী। আমাদের বিভিন্ন খাতে তারা পূর্ব থেকেই কাজ করছে। এবার এ খাতে তারা কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।

“তারা কর্পোরেট হাউজের জন্য কর্পোরেট বন্ডের ব্যবস্থা করতে চায়। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যারা  বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদেরকেও বন্ডের মাধ্যম অর্থায়ন করতে চায়।”

এই বন্ডগুলো টাকায় হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তারা খুবই উপযুক্ত মূল্যে এই বন্ডটি পরিচালনা করবে। তাছাড়া এডিবির এই অর্থায়নের মাধ্যম ব্যাংকিং খাতের উপরও যে চাপ রয়েছে, সেটাও অনেকাংশে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।”