কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনে অন্তত ৪৩ জন পেঁয়াজ আমদানিকারকের কাছে মজুদদারি ও অতি মুনাফার কারসাজির বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বিকালে এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কারও উপরে এই মুহূর্তে দায় চাপাতে চাই না। আমরা চাচ্ছি, সবাই মিলে কীভাবে দামটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। আমদানি কীভাবে আরও বেশি বাড়ানো যায়।”
৪৩ জন ব্যবসায়ীকে প্রশ্ন করার পর মজুদদারি বা অতি মুনাফার বিষয়ে কী তথ্য পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমদানিকারকরা সাধারণত মজুদ করেন না, তারা অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেন। সেই সব জায়গায় থাকতে পারে, সেগুলো আমরা দেখব।
“গতকাল ও আজ পেঁয়াজের বড় আমদানিকারকদের আমরা ডেকেছি। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা যেসব মালামাল নিয়ে এসছেন সেগুলো কার কাছে বিক্রি করেছেন, কী দামে বিক্রি করেছেন সেই তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। পর্যায়ক্রমে তাদের সাথেও যদি প্রয়োজন হয় আমরা কথা বলব। পাশাপাশি আমরা তাদের আরও বেশি পেঁয়াজ আমদানি করতে উদ্বুদ্ধ করছি, যাতে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।”
জিজ্ঞাসাবাদে কী পাওয়া গেল-প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পেঁয়াজের আমদানি ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত চেইনটি আমরা বুঝতে চাচ্ছি। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টকে বোঝার জন্য ডেকেছি।”
আমদানিকারকরা গত দুই মাসে সঙ্কটকালীন সময়ে আড়তদারের কাছে সর্বোচ্চ কী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন, অথবা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়া কোনো আমদানিকারক অতি মুনাফা করেছেন কি না এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি এই শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, “আমরা যাচাই-বাছাই করছি। জিজ্ঞাসাবাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, কারও কাছে যেন মজুদ না থাকে সেই আহ্বান জানানো। আমরা সিন্ডিকেট শব্দটি বলতে চাই না।”
শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে আসা দিনাজপুরের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, “তারা জানতে চেয়েছেন, স্টকে আছে কি না। আমরা বলেছি, নাই। আমদানি করা পেঁয়াজ স্টক করা যায় না।
“উনারা বলল, ইন্ডিয়া ছাড়া অন্য দেশ থেকেও যেন কিছু এলসি করি। আমরা অলরেডি সেটা করেছি। পাকিস্তান-তুরস্ক থেকে ৬০০ টন এলসি করেছি। দাম পড়ছে প্রতিকেজি ৫৩ টাকা থেকে ৬৫ টাকা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই মাল পেয়ে যাব।”