বাড়তি দামের মধ্যেই বাজারে ঢুকছে সাতশ টন পেঁয়াজ

বাজারে অতিরিক্ত দামের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকেছে প্রায় সাতশ টন পেঁয়াজ।

মিন্টু চৌধুরী চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2019, 02:45 PM
Updated : 26 Nov 2019, 03:20 PM

এর মধ্যে চট্টগ্রামের বিএসম সিন্ডিকেট নামে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ একাই এনেছে ৫৮০ মেট্রিক টন।

তারা চীন থেকে ৮০০ টন পেঁয়াজ আনার জন্য আমদানি অনুমতির আবেদন করেছিল চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কাছে।

কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বুলবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসেছে মোট ৬৯৬ টন পেয়াঁজ। এর মধ্যে বিএসএম সিন্ডিকেট চীন থেকে এনেছে ৫৮০ টন। 

“অপর একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান থেকে আনে ১১৬ টন। আমরা উভয় প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছি। এসব পেঁয়াজ মঙ্গলবারের মধ্যে খালাস হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।”   

কৃষিজাত পণ্যের ঋণপত্র খোলার আগে আমদানির অনুমতি নিতে হয় চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে। পণ্য আমদানির পর খালাসের আগেও তাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নেওয়া হয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানির জন্য উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে অনুমতি পত্র (আইপি) খোলা হয়েছে ৯৩ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজের জন্য।

সর্বোচ্চ ৬১ হাজার ৩২৪ টন পেঁয়াজ মিশর থেকে আনার জন্য আইপি খোলা হয়েছে। এরপর চীন থেকে ১১ হাজার ৬৫৩ টন, পাকিস্তান থেকে পাঁচ হাজার ৬০০ টন, তুরস্ক থেকে ১১ হাজার ৮৬৮ টন পেঁয়াজ আনার অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা ও উজবেকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আনার জন্য আমদাকিারকরা আইপি করেছেন। 

প্রায় দুই মাসে এসব আমদানি অনুমতিপত্রের (আইপি) বিপরীতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজ এসেছে আট হাজার ৩৪৩ টন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পেঁয়াজ এসেছে মিশর থেকে চার হাজার ৪০৬ টন।

এছাড়া চীন থেকে এক হাজার ৮৫৭ টন, মিয়ানমার থেকে এক হাজার ২২৮ টন পেঁয়াজ রয়েছে। এর বাইরে তুরস্ক, ইউএই, পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ এসেছে।

বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আসলেও দামের ক্ষেত্রে এর প্রভাব নেই চট্টগ্রামের খুচরো বাজারে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে মানভেদে এক কেজি পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

নগরীর বক্সিরহাটের দোকানে মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ২২০ টাকা, চেরাগী পাহাড়ের লাকী স্টোরে ২০০ টাকা এবং অন্যান্য এলাকায় তুরস্কের বড় পেঁয়াজ মানভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে আগের দিনের চেয়ে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে বলে আড়তদাররা জানিয়েছেন।

হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক  ও পেঁয়াজের আড়তদার মোহাম্দ ইদ্রিচ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার পেঁয়াজের বাজার একটু পড়তির দিকে ছিল। প্রতি কেজির দর ছিল ১৮০ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত।

সামনে আরও দাম কমতে পারে বলে ধারণা করছেন ওই আড়তদার।