চালু হল এমটিবি জাদুঘর

জাদুঘর চালু করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এমটিবি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2019, 06:01 PM
Updated : 25 Nov 2019, 06:01 PM

বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম কোনো জাদুঘর চালু হল। এর নাম হচ্ছে 'এমটিবি মিউজিয়াম'।

উন্নত দেশের ব্যাংকগুলোর মিউজিয়ামের আদলে এই জাদুঘরটি গড়ে তোলা হয়েছে। এতে ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৯ পর্যন্ত ২০ বছরে এমটিবির পথচলা এবং অর্জনের ইতিহাস সংরক্ষণ করা হয়েছে এই জাদুঘরে।

প্রতিষ্ঠাকালীন বিভিন্ন সামগ্রী, পরিচালনা পর্ষদ, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, বার্ষিক সাধারণ সভা, বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শাখা, বুথ, এটিএম, কিওস্ক, এয়ার লাউঞ্জ, প্রিভিলেজ সেন্টারের ছবি সংরক্ষিত থাকবে এতে।

সোমবার রাজধানীর বাংলামোটরের এমটিবি টাওয়ারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এমটিবি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী জাদুঘরটির উদ্বোধন করেন।

এছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধের টেরাকোটা এবং ‘মুজিব শতবর্ষ’ সামনে রেখে ২০২০ সালের ক্যালেন্ডারও উদ্ধোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্জুর এলাহী বলেন, “আমরা আজ ব্যাংকিং মিউজিয়াম, স্বাধীনতা যুদ্ধের টেরাকোটা ও মুজিব শতবর্ষ নিয়ে ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার তৈরি করেছি। আমি মনে করি প্রত্যেক ব্যাংকেরই এসব কাজ করা উচিত। আমাদের বাঙালিদের চরিত্রেই আছে ইতিহাসটা মনে রাখি না বা মনে রাখতে চাই না।

“আজ মঞ্জুর এলাহী এই পজিশনে এসেছে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই। বাংলাদেশ না হলে আমি একটি চাকরি করতাম। সেই চাকরি থেকে একদিন রিটায়ার্ড করে ফেলতাম। আমি প্রতিটি দিন কৃতজ্ঞতা জানাই জাতির পিতাকে। উনার জন্য আজকে আমাদের এত মানুষের চাকরি হয়েছে।

“আমার মতো অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”

ব্যাংকের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, “আমি বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। অনেক ব্যাংক দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। সেসব দেশের ব্যাংকের জাদুঘর দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশেও এমন একটা হবে। এমটিবি মিউজিয়াম আমার সে স্বপ্ন পূরণ করেছে।”

ব্যাংকটির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রফিকুল হক, গৌতম প্রসাদ দাস এবং তারেক রিয়াজ খান উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের ২০২০ সালের ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে। ছবিগুলো এঁকেছেন দেশের ১২জন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী: হাশেম খান, রফিকুন্নবী, শেখ আফজাল, মোঃ নাজমুল কবির, জামাল আহমেদ, আব্দুস শাকুর শাহ, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, মনিরুল ইসলাম, সমীরণ চৌধুরী, প্রদীপ সাহা এবং রোকেয়া সুলতানা।