ঢাকা শহরে আরও ১৫টি স্থান বাড়িয়ে মোট ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাকে করে এ পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঢাকায় আগে ৩৫টি স্থানে ট্রাক সেলের মাধ্যমে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা বাড়িয়ে ৫০টি স্থান করা হয়েছে।
তবে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কতটি স্থানে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে সে তথ্য দিতে পারেননি লতিফ বকসি।
সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে আকাশ ও সমুদ্র পথে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আকাশ ও সমুদ্র পথে পেঁয়াজের চালানগুলো দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। বিভিন্ন এয়ারেলাইন্সের মাধ্যমে মিসর, তুরস্ক, পাকিস্তান থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
সরকার পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশি পেঁয়াজ (পাতাসহ) পর্যাপ্ত বাজারে এসেছে। পেঁয়াজের মূল্যও দ্রুতগতিতে কমছে। এখন পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। পুরো অক্টোবরজুড়েই দেশে পেঁয়াজের দাম ওঠানামার মধ্যে ছিল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর কোথাও কোথাও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকাতেও উঠে যায়।
ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা কমে যাওয়া, আমদানি বাড়তে থাকা এবং নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে থাকায় গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকে।