কৃষি পণ্যের আন্তর্জাতিক মেলা বৃহস্পতিবার থেকে

কৃষি পণ্যের আন্তর্জাতিক মেলা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2019, 11:27 AM
Updated : 19 Nov 2019, 11:27 AM

কৃষক ও কৃষির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ফুড প্রসেসিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা) এবং রেইনবো এক্সিবিশন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস সপ্তম বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের এই মেলা।

মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যের সর্ববৃহৎ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রজ্জাক বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করবেন। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা মেলা চলবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মেলা আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক এই মেলায় দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি যারা সরাসরি ফুড প্রসেসিং সেক্টরের সাথে যুক্ত তারা অংশগ্রহন করবেন।

ইতিপূর্বে ছয় বার অনুষ্ঠিত এই মেলার আশাতীত সাফল্য, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এবং দর্শনার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ার পেক্ষাপটে সপ্তমবারের মতো মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

“আমরা এবারের মেলার সাফল্য নিয়েও আশাবাদী।”

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাপা জন্মলগ্ন থেকেই ফুড প্রসেসিং সেক্টরের উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাপার মূল লক্ষ্যই হল এই সেক্টরের ক্রমবর্ধমান বিকাশ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া। বিশ্বায়নের এই যুগে, আগত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা ছাড়া যে কোন খাতে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ।

“কজেই বাংলাদেশ যাতে কোনভাবেই এই খাতে পিছিয়ে না যায়, সে ব্যাপারে বাপা কাজ করে যাচ্ছে। ফুড প্রসেসিং সেক্টর এবং এর সাথে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানের বিকাশ এবং সাবির্ক সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়র আরও বেগবান করবে।”

বাপার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালে ১৩ জন সদস্য নিয়ে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা তিনশ।  যারা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশ্বের ১৪৪টি দেশের রপ্তানি করছে।

২০২১ সালে ১০০ কোটি ডলারের রপ্তানি

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খাদ্য পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৭০ কোটি ডলার আয়করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে এই রপ্তানি ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

আহসান খান চৌধুরী বলেন, “আমরা আশাবাদী যে সময়ের সাথে সাথে এই মেলার পরিসর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পারস্পরিক বাণিজ্যের প্রসার এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচয় করানো এই মেলার অন্যতম লক্ষ্য।”

মেলায় প্রদর্শনী ছাড়াও কারিগরি সেশন থাকবে। যেখানে দেশ-বিদেশের এই খাতের সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও অংশগ্রহণকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ম্যাচিং সেশনের ব্যবস্থাও থাকবে।

মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ১৫টি দেশের প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।