মুনাফার এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ কররা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বিশ্লেষক,পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং সাংবাদিকরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ সব প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,২০১৯ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা।
জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে ব্যাংকটির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১২২ কোটি টাকা। এ হিসাবে মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ।
সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকের আমানত দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৯ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা।
সেপ্টেম্বর শেষে মোট ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। আমদানী রপ্তানি ব্যবসাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলে দাবি করা হয় অনুষ্ঠানে।
রাহেল আহমেদ বলেন, “অগ্রগতির যে ধারায় ব্যাংকটি এগিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে আগামীতেও।”
ব্যাংকের কৌশলগত অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে প্রাইম ব্যাংকের কার্যক্রম ও ক্রমোন্নতি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে।”
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
এসময় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রব্বানী, তৌহিদুল আলম খান, ফায়সাল রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।