আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বেজা

দ্রুত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার সহজতর করার স্বীকৃতি হিসেবে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্রি অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোন ফেডারেশন’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে সরকারের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2019, 05:26 PM
Updated : 23 Oct 2019, 05:26 PM

বুধবার বেজার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর মোনাকোতে অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড ফ্রি অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোন সামিটে’ এই পুরস্কার দেওয়া হবে। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী পুরস্কার বুঝে নেবেন।

এ স্বীকৃতি অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেজাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বেজা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রার পর থেকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে বেজা।

চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে জিটুজি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনটি ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে নির্মাণ সংস্থা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল পেয়েছে চূড়ান্ত লাইসেন্স। বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে ১৯টি শিল্প স্থাপন হয়েছে। আরও ২০টি শিল্প স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

>> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরীতে বেজা’র উদ্যোগে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ৩০০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

>> বেজার বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপান, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, সিংগাপুর, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমান সাড়ে ১২ বিলিয়ন ডলার।

>> চীনের ঝুঝু জিনিয়ান কেমিক্যাল, এশিয়ান পেইন্টস, আরমান হক ডেনিম, মডার্ন সিনটেকস, নিপ্পন-ম্যাকডোনাল্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ইতোমধ্যে শিল্প স্থাপনের কাজ শুরু করেছে।

>> জিটুজি ভিত্তিতে চায়নিজ ইকোনমিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন বাস্তবায়নে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নিয়োগ দিয়েছে চীন সরকার। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপনে প্রায় ৩২০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

>> ২০৫ একর জমির ওপর মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে পিপিপি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোনে ডেভেলপার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; সেখানে জমি বরাদ্দ চলছে।

>> ৩৫২ একর জমির ওপর অবস্থিত শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ২৩১ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

>> জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভূমি উন্নয়ন, গ্যাস সংযোগ প্রকল্প, পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো (অফিস ভবন, ডরমিটরি হাউজ ও সীমানা প্রাচীর) নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে জমি বরাদ্দ চলছে।

>> কক্সবাজারের মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।

>> বাংলাদেশের দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার সাগর তীরে নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক পর্যটন সুবিধা সম্বলিত সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। এখানে মোট জমির পরিমাণ ১০৪১ একর।

>> ২৯১ একর উপর টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীর জালিয়ারদ্বীপে গড়ে তোলা হচ্ছে নাফ ট্যুরিজম পার্ক।

>> মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া, বিজয় একাত্তর ও সমুদ্র বিলাস মৌজায় অবস্থিত সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্কের জমির পরিমাণ ৯৪৬৭ একর। সোনাদিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক মানের ইকো-ট্যুরিজম পার্ক প্রতিষ্ঠা করার জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে ভারতের মাহিন্দ্রা কনসালটেন্টকে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে।