সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প, এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যেগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক এ মেগা ইভেন্টের আয়োজন করে।
ওয়ালটনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান এবং অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই ওয়ালটনকে ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। মেলায় শৈল্পিক ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন স্থাপন করে বেস্ট প্যাভিলিয়নের পুরস্কারও পেয়েছে ওয়ালটন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ওয়ালটনের পক্ষে পুরস্কার বুঝে নেন নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান ও তাপস কুমার মজুমদার, অপারেটিভ ডিরেক্টর তৌফিক-উল-কাদের এবং ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ রোবেল ইসলাম।
স্থানীয় শিল্পের বিকাশ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিতে ২০০৮ সালে ওয়ালটন দেশেই চালু করে রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার কন্ডিশনার তৈরির পূর্ণাঙ্গ কারখানা। ২০১০ সালে শুরু হয় টেলিভিশন এবং হোম অ্যাপ্লায়ান্স তৈরি।
২০১৭ সালে ওয়ালটন চালু করে দেশের প্রথম এবং একমাত্র কম্প্রেসর উৎপাদন কারখানা। ২০১৭ সালে ওয়ালটনই বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা চালু করে। ২০১৮ সালে ওয়ালটন দেশেই কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং আইসিটি পণ্য উৎপাদন শুরু করে।
পুরস্কার গ্রহণ করে জাহিদ হাসান বলেন, ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি ইলেকট্রনিক্স ও আইসিটিসহ বিভিন্ন ডিভাইস দেশের চাহিদা মিটিয়ে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।