গ্রামীণফোন থেকে বিটিআরসির পাওনা আদায়ে নিষেধাজ্ঞা

গ্রামীণফোনের আপিল গ্রহণ করে এই মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা আদায়ে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট।

হাই কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2019, 11:50 AM
Updated : 17 Oct 2019, 12:09 PM

বিচারপতি আবদুল হাকিম ও ফাতেমা নজীবের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

আগামী ৫ নভেম্বর গ্রামীণফোনের আপিল শুনানির জন্য দিন রেখেছে আদালত।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শরীফ ভূঁইয়া ও তানিম হোসেইন শাওন। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি।

কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে দুই অপারেটরকে।

অন্যদিকে টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির; বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় দুই অপারেটর। তবে পরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের উদ্যোগে বিষয়টি নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হয়েছে।

গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিম্ন আদালতে আমরা একটা টাইটেল স্যুট (স্বত্তের মামলা) ফাইল করেছিলাম। ওই টাইটেল স্যুটটা অ্যাডমিটেড হয়ে নিম্ন আদালতে পেন্ডিং আছে।

“ওই টাইটেল স্যুটের অধীনে আমরা বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছিলাম, সেটা গত ২৮ অগাস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দিয়েছিলেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাই কোর্টে অবকাশের সময় আপিল করেছিলাম।

“আজ হাই কোর্ট আমাদের আপিলটি গ্রহণ করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর আপিলটি শুনানির জন্য ধার্য রেখেছেন। এই সময়ের মধ্যে বিটিআরসি তাদের পাওনা আদায়ের জন্য যাতে কোনো ব্যবস্থা না নেয় সে জন্য দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।”