চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উদ্ভাবনের বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশিও উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী  এ কে আবদুল মোমেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2019, 05:35 PM
Updated : 14 Oct 2019, 05:35 PM

সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো উদ্বোধনের সময় এই আহ্বান জানান তিনি।

মোমেন বলেন, “আমরা আইসিটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার কথা বলছি।  চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে দেশের প্রাইভেট সেক্টরগুলোকে আরো বেশি উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে আসতে হবে।”

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ১০ বছরে আইসিটি খাতে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আসার কথা জানান তিনি।

“গত ১০ বছরে আপনারা দেখেছেন, আইসিটি খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি। এই খাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে, তেমনিভাবে চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, অটোমেশন ট্রান্সপোর্টেশন, ন্যানো ম্যাটারিয়ালস, ব্লক চেইন, আইওটির কথা যখন আমরা বলছি, তখন এসব খাতে আরও বেশি পণ্য আমাদের দরকার। আইসিটি খাত নানাভাবে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে। এখন আমাদের আরও বেশি পণ্য উদ্ভাবনের দিকে নজর দিতে হবে।”

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সোমবার ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২ কোটি স্মার্টফোন দেশেই সংযোজনের আশা দেখিয়ে তিনি বলেন, “হার্ডওয়ার অ্যাসেম্বল ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে আমরা কয়েক লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান করতে পারব।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি সার্ভিস অ্যালায়েন্স -উইটসার মহাসচিব জেমস জিম পয়জান্ট, ডাক-টেলিযোগাযোগ-আইসিটি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতউল্লাহ, হাই টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ,বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক, আইডিয়া প্রজেক্ট, এটুআই, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনী হচ্ছে।  

দেশীয় প্রযুক্তির সমাহার দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের প্রদর্শনী, রাখা হয়েছে ৮টি জোন। থাকছে ইনোভেশন জোন।

আইডিয়া প্রকল্পের ৩০টি প্রজেক্ট, এটুআইয়ের ৩০টি প্রজেক্ট এবং ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ইনোভেশন জোন। এ জোনে জানা যাবে তথ্যপ্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে।

অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রামগুলো থেকে নির্বাচিত সেরা ৩০টি উদ্ভাবন এক্সপোতে প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনীর শেষ দিন বুধবার শীর্ষ ১০ তরুণ উদ্ভাবককে বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) দেওয়া হবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোতে দর্শকরা।

এক্সপোতে থাকবে স্টার্ট আপ জোন। মেলার অন্যতম আকর্ষণ রোবোটিক জোন। এবার এক্সপোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট ‘লি’। বিসিএস এক্সপো জোনে পাওয়া যাবে তথ্যপ্রযুক্তির হালনাগাদ সব পণ্য। এক্সপো জোনে থাকবে ১১০টি প্যাভিলিয়ন এবং স্টল।

গেমারদের জন্য থাকছে গেম জোন। দেশের তৈরি বিখ্যাত ল্যাম্বারগিনি গাড়ির আদলে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ির দেখা মিলবে এক্সপোতে।

তথ্যপ্রযুক্তিতে অবদান রাখার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখা ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।

এ মেলার লক্ষ্য হচ্ছে, হার্ডওয়্যার পণ্য উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিতি করে তোলা।

আয়োজকরা বলছেন, নতুন উদ্যোক্তাদের বাণিজ্যিকভাবে তাদের পণ্য বাজারজাত, পণ্য বাজারজাত করতে ইন্ডাস্ট্রি  ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন করে দেবে এই এক্সপো।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।