সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, “পোশাকশিল্পের জন্য টেকসই নীতির অনুসরণ বা সাসটেইনেবল প্র্যাকটিস এখন বিশেষ ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি অত্যাবশ্যকীয় কাজে পরিণত হয়েছে।
“দেশের পোশাকশিল্পকে টেকসই করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আলোচনার সূত্রপাত করতে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের আয়োজন করা হয়েছে।”
মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, সম্মেলেনে দুই দিনের আলোচনায় যে পরামর্শগুলো আসবে, সেসব নিয়ে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার জন্য একটি রূপকল্প তৈরি করা হবে। পরবর্তী বছর এর অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা হবে।
বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, “সবাই এখন সাসটেইনেবলিটি নিয়ে কথা বলছে। সাসটেইনেবল ফেব্রিক্স, কারখানার নিয়ম-নীতিগুলোকে টেকসই করা, সর্বোপরি একটি টেকসই প্রক্রিয়া বিনির্মাণের বিষয়ে এখন সারাবিশ্বে আলোচনা হচ্ছে।
“শুধুমাত্র টেকসই পরিবেশ নিয়ে নয়, শ্রমিক ইস্যুতেও অনেক কিছু রয়েছে যা সাসটেইনেবল করা প্রয়োজন। আমরা যদি শ্রমিক ইস্যুতে টেকসই নিয়ম নীতি পালন শুরু করতে না পারি, ব্যবসা অর্থবহ হবে না।”
”এসব দিক বিবেচনায় এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। এই বছর থেকে বিজিএমইএ এর সঙ্গে যুক্ত হল।”
ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের যৌথ আয়োজক হিসাবে আছে বিএই ও পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এর আগে এককভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করেছিল বিএই।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ৫০ জন বিশেষজ্ঞ মানবসম্পদ, স্বচ্ছতা, পানির ব্যবহার, ক্রয়নীতি ও জলবায়ু বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরবেন।
পুরো আয়োজনের সঙ্গে রয়েছে ঢাকার নেদারল্যান্ডস দূতাবাস। এছাড়া সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম, সিঅ্যান্ডএ ফাউন্ডেশন এবং বেটারওয়ার্ক বাংলাদেশ রয়েছে এই আয়োজনের সঙ্গে।
ঢাকায় সুইডেনের শারলোটা শ্লিটার, ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হেন্ড্রিকাস জি জে (হ্যারি) ভারউইজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।