রোবট তৈরির দিকে যাওয়ার পরামর্শ সালমান এফ রহমানের

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রোবট তৈরির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2019, 07:55 PM
Updated : 13 Oct 2019, 05:41 AM

শনিবার আইএফআইসি ব্যাংক-সমকাল শিল্প ও বাণিজ্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ন্যানো টেকনোলজি। বলা হচ্ছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যখন শুরু হবে তখন মানুষের কর্মসংস্থান রোবট দখল করে নেবে। সেটা সম্ভব। খুব সম্ভবত সেটাই হবে।

“কিন্তু সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা কেন রোবট উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করব না? সেজন্য আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন দরকার।”

নজর দিলে এ ক্ষেত্রেও সফল হওয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন দেশের ওষুধ শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ বেক্সিমকোর কর্ণধার সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, “অনেকে সন্দেহ করে আমরা পারব কি পারব না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বাংলাদেশটাকে ডিজিটাল করে দিয়েছেন, সেটা দিয়ে এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমরা বিরাট একটা সুবিধা পাব।

“ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত আমাদের অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে গেছে এবং আমরা ইতোমধ্যে ফোর-জিতেও আছি। অনেক উন্নত দেশে এখনও আমাদের মত সারা দেশে ইন্টারনেট ও ফোর-জি সার্ভিস দিতে পারেনি। এছাড়া ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল সেবা আমরা সবচেয়ে কম দামে দিচ্ছি। তাই আমাদের অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। এখন দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে।”

দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের বর্তমান ব্যবসার পাশাপাশি এ খাতেও বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশ এখন দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর। দেশের সকল ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারছি। কিন্তু এখনও দেশে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে পারিনি।”

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা নিতে হলে দক্ষ জনবল তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন আব্দুর রাজ্জাক।

অনুষ্ঠানে পাঁচটি শাখায় আইএফআইসি ব্যাংক-সমকাল শিল্প বাণিজ্য পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আমজাদ খান চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় এ অনুষ্ঠানে।

এছাড়া বর্ষসেরা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানা গ্রামের মেসার্স আফিয়া খানম ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী রুবা খানম, সেরা এসএমই উদ্যোগ হিসেবে কেপিসি ইন্ডাস্ট্রিজ, বর্ষসেরা তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে ফরচুন সুজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান এবং বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনের প্রতিনিধির হাতে ক্রেস্ট ও নগদ দুই লাখ টাকা করে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।