সম্প্রতি বিটিআরসিতে পাঠানো জবাবে অপারেটর দুটি বলছে, এ লিগ্যাল নোটিস জারির আগেই আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা বিচারাধীন থাকায় এর গ্রহণযোগ্যতা নেই।
গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি।
কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর নোটিস পাঠানো হয় দুই অপারেটরকে। নোটিসে ৩০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ (রোববার) বিকেলে সংশ্লিষ্ট দুটি অপারেটরের এ সংক্রান্ত পত্র ইতোমধ্যে কমিশন কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।”
গ্রামীণফোন এক ই-মেইল বার্তায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছে, “টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অমীমাংসিত এবং ভিত্তিহীন অডিট দাবির জটিলতা নিরসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য আমরা অর্থমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমাদের লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত বিটিআরসির ভিত্তিহীন শোকজ নোটিসটি যেহেতু তুলে নেওয়া হয়নি, সেহেতু আমরা আমাদের প্রত্যুত্তর দাখিল করেছি।”
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিতর্কিত নিরীক্ষা আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি আমাদের কাছে যে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছে, তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। কারণ এ লিগ্যাল নোটিস জারির আগেই আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। আর বিচারাধীন কোনো বিষযের ওপর কোনো মন্তব্য আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে আমরা আগে যা বলেছি, নতুন করে তার ওপর কিছু বলার নেই।”
বিটিআরসির দাবি করা টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির; বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় এর আগেই দুই অপারেটর আদালতে যায়।
খোদ অর্থমন্ত্রী এই বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়ার পর গ্রামীণফোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নানা পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেছে সরকার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হককে নিয়ে ইতোমধ্যে দুই দফা গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।