৭১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র (প্রথম পর্যায়) নির্মাণ প্রকল্পের ৪৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে জাপানি কোম্পানি-জেরার হাতে।
স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ প্রকল্পের কাজের জন্য সোমবার রিলায়েন্সের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে।
এর আওতায় ২০২২ সালের জুলাই মাসের মধ্যে মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দুটো গ্যাস টারবাইন, একটি স্টিম টারবাইন, দুটো হিট রিকভারি বয়লার এবং একটি সাবস্টেশন নির্মাণ করে দেবে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি, যাতে ব্যয় হবে ৬৩ কোটি ডলার।
রিলায়েন্স বাংলাদেশের মুখপাত্র রঞ্জন লোহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি ‘টার্নকি’ পদ্ধতিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। নির্মাণ কাজের সব দায় দায়িত্ব স্যামসাংয়ের ওপরই থাকছে। চুক্তি অনুযায়ী ৩৪ মাসের মধ্যেই কাজটি শেষ করবে তারা।”
এ বিদ্যুৎপ্রকল্পের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে ভারতের বিদ্যুৎ খাতের অন্যতম বড় কোম্পানি রিলায়েন্স। পরে তারা এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাপানি কোম্পানি-জেরাকে অংশীদার হিসেবে নেওয়ার কথা জানায়।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে গ্যাস কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে রিলায়েন্স বাংলাদেশ এলএনজি অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড। এই কেন্দ্র থেকে ২২ বছর পিডিবিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
প্রতি ডলারের বিনিময় হার ৮০ টাকা ধরে তিতাস গ্যাস প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) গ্যাস বা এলএনজি সরবরাহ করবে ৭ দশমিক ২৬২৫ ডলার দরে। আর রিলায়েন্স এ কেন্দ্রে তাদের উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পিডিবির কাছে বিক্রি করবে ৭ দশমিক ৩১২৩ সেন্ট বা ৫ টাকা ৮৪ পয়সা দরে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী তিন বছরের মধ্যে এই কেন্দ্র উৎপাদনে যাবে এবং উৎপাদিত ৪০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ পিজিসিবির মেঘনা ঘাট সাব স্টেশন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।