নানদুজকে আবার জরিমানা

মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য ব্যবহারের জন্য আবারও জরিমানা গুণতে হয়েছে ঢাকার গুলশানে নানদুজের রেস্তোরাঁকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2019, 03:44 PM
Updated : 9 Sept 2019, 03:44 PM

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সোমবার এই রেস্তোরাঁটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

এর আগে গত জুন মাসে এই রেস্তোরাঁটিকেই দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছিল র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার জরিমানার বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নানদুজ তাদের কিচেন রুমে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারের উপাদানের গায়ে নতুন তারিখ বসিয়ে তা ব্যবহার করছিল। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে।”

আগের বার জরিমানার সময় নানদুজে মেয়াদোত্তীর্ণ মুরগির মাংস ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছিল র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তবে নানদুজ কর্তৃপক্ষ  সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিল, তাদের দোকানে কোনো ভেজাল অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পাওয়া যায়নি।

সোমবার জরিমানাকারী মাসুম আরেফিন বলেন, নানদুজ কর্তৃপক্ষ ‘দোষ স্বীকার করেছে’।

যোগাযোগ করা হলে নানদুজের ওই রেস্তোরাঁর শিফট ইনচার্জ মহসীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিচেন রুমের কর্মীরা কিছু পণ্যের গায়ে তারিখ বসাতে ভুল করেছিল। কর্তৃপক্ষ এই কারণে জরিমানার দণ্ড দিয়েছে।”

ঢাকা শহরে গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় খাবারের দোকান রয়েছে নানদুজের।

নানদুজে অভিযানের সময় ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা মাসুম ফেইসবুক লাইভে এসে বলেন, “আপনারা এভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য দিয়ে খাদ্য দ্রব্য তৈরি করতে পারেন না। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আপনাদের কাছে মানুষজন অনেক উচ্চ মূল্য খরচ করে খেতে আসে একটু স্বস্তির জন্য। আপনাদের কাছ থেকে এমনটি আশা করা যায় না। আপনাদের উচিত সবচেয়ে বেশি নির্ভেজাল থাকা।”

ফেইসবুক লাইভে মন্তব্য করতে গিয়ে অনেকে নানদুজকে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

মোহাম্মদ আব্দুল হালিম নামের একজন লিখেছেন, “এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানায় কোনো লাভ হবে না। এদেরকে জেল ও স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা দরকার।”

ভোক্তা অধিকারের অভিযানে এদিন গুলশানের ক্রজ ক্যাফেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা দিয়ে খাবার তৈরির দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং রেড কেবল নামের একটি খাবার দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।