শুক্রবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন আসা সিমের দাম প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পীরেরবাগ কাঁচা বাজারে সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ রাকিব বলেন, সপ্তাহের শুরু থেকেই করলা, বেগুন ও ঝিঙের দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেড়েছে।
মূলা প্রতিকেজি ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা,ধুন্দল ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা ও কচুর লতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিনে কারওয়ান বাজারে এসব সবজির দাম ছিল কিছুটা কমই। সেখানে ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা ও কাকরোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
সঞ্জীব রায় নামে এক ক্রেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারওয়ান বাজারে সবজির দাম ‘খুবই অদ্ভুত রকমের’। বাজারের এই প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে দামের পার্থক্য হয়ে যেতে পারে কেজিতে ২০ টাকা।
“সকালে দাম কম থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা বাড়লে দামও বেড়ে যায়।”
টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও এ সপ্তাহের বাজার দরে কমেছে রসুন ও আদার দাম।
দেখা গেছে, গত তিন সপ্তাহ ধরেই কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকার মধ্যে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়।
পাড়ার মুদি দোকানে এর থেকে কিছু বেশিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের কয়েকটি মসলার দোকানের বিক্রেতা বলেন, গত তিন দিনে চায়না রসুনের দাম কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা করে কমেছে। চায়না রসুন এখন ১৪০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সম্প্রতি রসুনের প্রচুর আমদানি চালান এসেছে বলেই দামের এই নেমে আসা বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
প্রতি কেজি আদার দামও ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে এখন ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের মাংসের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
এতে করে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম কিছুটা কমেছে, বলছেন তারা।
বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১১শ টাকা আর ৯শ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ মিলছে এক হাজার টাকায়। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছের দাম প্রতি কেজি ১১শ টাকা থেকে ১২শ টাকার মধ্যে।
তবে থাইল্যান্ডে থেকে আমদানি করা রুই-কাতলের দাম ছুটির দিনের বাজারেও বেশি দেখা যায়।
মাছ বিক্রেতা রোকন উদ্দিন বলেন, ইলিশ বাজারে আসার কারণে সামুদ্রিক মাছের দাম কিছুটা কমেছে।
“আগে রূপচাঁদা মাছ কেজি এক হাজার টাকা করে বিক্রি হলেও এখন হচ্ছে ৮শ টাকা করে। তবে থাইল্যান্ডের রুই মাছের দাম কেজিতে অন্তত একশ টাকা করে বেড়ে ৩শ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”
তবে দেশি রুই মাছ মিলছে কমে; বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।
এছাড়াও কোরাল মাছ ৫০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৫০০ টাকায় এবং আইড় মাছ ৬০০ টাকায়, বাইলা মাছ ৮০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।