রোববার এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দল ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে যায়।
এফবিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাতের সময় এফবিসিসিআই সভাপতি ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন বাণিজ্য নীতির সংস্কার এবং ব্যবসা পরিচালনা সহজীকরণে কার্যকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সরকারের এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
এফবিসিসিআই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পন্নের লক্ষ্যে ‘এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন সেন্টারের’ কাজ শুরু করেছে বলে শেখ ফাহিম উল্লেখ করেন।
সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দেশের দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন মেটাতে ‘এফবিসিসিআই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’ এবং ‘টেকনিকাল ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি এ প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনায় ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির বিষয়ে যথাযথ ব্র্যন্ডিং হলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে অবগত হবেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক গভীর হয়েছে বলে হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী উল্লেখ করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে এলে বাংলাদেশ তা থেকে উপকৃত হবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে যাতে দুদেশে রপ্তানিযোগ্য সকল পণ্য আসা-যাওয়া করতে পারে সে বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।
এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি হাসিনা নেওয়াজ ও রেজাউল করিম রেজনু এবং পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মীর নিজাম উদ্দিন, পরিচালক সুজিব রঞ্জন দাস এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে এবং কমার্শিয়াল অফিসার প্রামেশ বাসাল অংশ নেন।