সব সরকারি কর্মচারীর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া উচিত: সালমান রহমান

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত, শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2019, 07:08 PM
Updated : 24 August 2019, 07:33 PM

শনিবার এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি নিয়ে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে একথা বলেন তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেহেতু জাতির পিতা তাই শুধু আওয়ামী লীগই নয়, বরং দেশের সকল রাজনৈতিক দলেরই তাদের কার্যক্রমে যথাযথ সম্মানের সাথে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ব্যবহার করা উচিত।

“বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হিসেবে যদি কোনও দলের না হয়ে দেশের ১৬ কোটি মানুষের হয় তাহলে সকল রাজনৈতিক দলের পোষ্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপাতে হবে।”

এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদের একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা। এ কে আজাদ বঙ্গবন্ধুকে একক দলের না করে জাতির পিতা হিসেবে দেশের সবার বঙ্গবন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানান।

সবার প্রতি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, “জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান ছিল না। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এটি জাতীয় স্লোগান ছিল। এ স্লোগান দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই এটি কোনও দলীয় স্লোগান নয়।

“সে কারণে সকল সরকারি কর্মচারীদেরও এই স্লোগান দেওয়া উচিত।”

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এম এ কাশেম, মাহবুবুর রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও মীর নাসির হোসেন বক্তব্য দেন।

সভায় বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর দেখানো অর্থনৈতিক পথে এগোচ্ছেন বলেই শেখ হাসিনার সরকার অভাবনীয় সফলতা পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “দেশের খুবই সাধারণ ও গরিব মানুষের সেবা করা বঙ্গবন্ধুর প্রধান গুণ ও লক্ষ্য ছিল। তার সরকারের সময় তিনি গরিব মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাতা ব্যবস্থা চালু করেন। এ ধরনের উন্নয়নের মাধ্যমে মূলত তিনি (বঙ্গবন্ধু) দেশের দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে তুলে আনতে চাইছিলেন। আর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সাথে সাথে শিল্পায়ন করতে চেয়েছিলেন।”

মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকারও তার সেই দেখানো পথে এগিয়ে গিয়ে উন্নয়ন শুরু করে। এখন জেলা পর্যায়ে প্রশাসনিক সেবা প্রদান চালু করে সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। বর্তমান বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়নকে মানবিক উন্নয়ন বলে অভিহিত করছে।”

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম

এফবিসিসিআই সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, “বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শী নীতিমালা ও প্রচেষ্টায় দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের নৃশংস ঘটনা না ঘটলে বাংলাদেশ আরও অনেক আগেই তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারত।”

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর ‘জীবন ও কর্ম’ নিয়ে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এফবিসিসিআই সম্মেলন কক্ষে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।