কোরবানির পর মাছ-সবজির দাম চড়া

কোরবানির ঈদের পর রাজধানীর অধিকাংশ মাংসের দোকান বন্ধ পাওয়া গেছে, অন্যদিকে বেড়েছে সবজি আর মাছের দাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2019, 03:30 PM
Updated : 16 August 2019, 03:31 PM

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের খুচরা বাজার, শুক্রাবাদ বাজার এবং পশ্চিম রাজাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিনেও খোলেনি সব দোকান।ক্রেতার সংখ্যাও কম। 

অন্যান্য সবজির দাম অল্প বাড়লেও ঈদের আগের চেয়ে টমেটো, শসা ও কাঁচা মরিচের দামের ফারাক বেশি বলে জানালেন কয়েকজন ক্রেতা।

রাজাবাজারের ক্রেতা মোকাররম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ”ঈদের আগের তুলনায় সব সবজির দামই কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কমবে হয়ত।”

এরমধ্যে কাঁচা মরিচের দাম ঈদের আগে প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।

প্রতি কেজি শসা আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কেনা গেলেও এখন তা ৮০ টাকায় উঠেছে। টমেটোর কেজি ১০০ টাকা থেকে লাফিয়ে এখন ১৬০-১৭০ টাকা চাওয়া হচ্ছে।

ঈদের কারণে যোগান কম থাকা আর বৃষ্টিকে এই দাম বাড়ার কারণ হিসাবে দেখাচ্ছেন দোকানিরা।

পশ্চিম রাজাবাজারের সবজি বিক্রেতা কাজী জসীম উদ্দীন বলেন, কেজিপ্রতি চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০, বেগুন ৫০, করলা ৬০ এবং গাজর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

”সব কিছুতে দাম বাড়ছে একটু। বৃষ্টি একটা কারণ আর আমরা সবজি পাচ্ছিও কম।”

কারওয়ান বাজারে গিয়েও অল্প কয়েকজন ক্রেতাকে সদাই করতে দেখা গেল।তারাও জানালেন, বিভিন্ন সবজি কিনতে হচ্ছে আগের সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি দামে।

মাছের বাজারেও একই হাল বলে জানালেন ক্রেতারা।

এ সপ্তাহের বাজারে রুই, চিংড়ি, পাঙ্গাস, কাতল মাছের দাম প্রতি কেজিতে ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি।

ওই বাজারে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ১২০০ টাকা এবং এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

মাছের দাম বাড়তি হওয়ার কথা স্বীকার করে আড়ৎদার আলী হোসেন বলেন, ”মাছের দাম একটু বেশি। পানি বেশি, জেলেরা ধরতেছে কম। গাড়িঘোড়া কম, বাজারে মাছ সেভাবে আইতাছে না।”

ঈদের পর বাজারে মাছ কিনতে এসে গত সপ্তাহের সঙ্গে দামের তুলনা করলেন মকবুল খান। 

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ”রুই মাছ যেটা ২৮০ টাকা করেও কিনেছি, এখন ওরা সাড়ে তিনশ টাকা করে চাচ্ছে। আমি এখন ৩২০ টাকা করে নিচ্ছি।”

এদিকে কোরবানির পর বাজারে গরু ও খাসির মাংসের চাহিদা কম থাকায়, মাংসের বাজারে খোলেনি বেশিরভাগ দোকানই।  

কোনো কোনো দোকানে খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজের দাম ‘স্থিতিশীল’ আছে বলে জানান শুক্রাবাদ বাজারের দোকানি নুরুল হক।