যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর, কাশিপুর, রঘুনাথপুর, বেনাপোলের পুটখালি, দৌলতপুর, সাদিপুর, ঘিবা, বাঁগআচড়ার গোগা, রুদ্রপুর, অগ্রভুলোট, দাদখালি সীমান্তকে কোরবানির পশুর চামড়া পাচারের রুট হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙখলা বাহিনী।
বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে রাজার হাটে প্রায় ২০ কোটি টাকার চামড়া কেনাবেচা হয়।
ঈদের পর সীমান্ত পথে চামড়া পাচার বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বাগআঁচড়ার চামড়া ব্যবসায়ী শেখ সহিদুল ইসলাম বলেন, “পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ীদের পুঁজি সঙ্কটের সুযোগ নেয় চোরাকারবারিরা। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তারা বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে চামড়া সংগ্রহ করে। পরে সুযোগ বুঝে পাচারকারীদের কাছে তুলে দেয়।”
শার্শা সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার ঠেকাতে ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি তল্লাশি চৌকি স্থাপনের কথা জানিয়েছেন বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শুকদেব রায় ও বেনাপোল বন্দর থানার এসআই আব্দুল লতিফ।
শার্শা উপজেলার সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ।
“সীমান্তের সব বিওপি ক্যাম্পগুলোকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। ঈদের দিন বিকাল থেকে অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃংখলা সমন্বয় কমিটির সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের নির্দেশে চামড়া পাচার রোধে আইনশৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু।