মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থাটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের ৫৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ, ব্যক্তিখাত খাতের প্রতিনিধি এবং সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ কমিশন গঠন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
“এই নাগরিক কমিশন ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা আনতে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তা সমাধানে নীতিনির্ধারকদের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ প্রদান করবে।”
বোর্ড সভায় সদস্যরা চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মধ্যে সিপিডি পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গবেষণাসমূহ হলো, বর্তমান সরকারের প্রথম একশো দিনে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, জাতীয় বাজেট সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং বাংলাদেশে এসডিজির চার বছরের অগ্রগতি মূল্যায়ন।
এসবের পাশপাশি, যুব কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাবে সিপিডি।
সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিপিডির গবেষণা, সংলাপ, প্রকাশনা ও প্রচারণা সংক্রান্ত সার্বিক কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করেন। এছাড়া ২০১৯ সালের শেষ ছয় মাসের সংশোধিত বাজেট অনুমোদিত হয়।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, আইনবিদ ড. শাহদীন মালিক, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলোদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন অংশগ্রহণ করেন।
গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এম শফিকুল ইসলাম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের পক্ষ থেকে গবেষণা ও সংলাপের মাধ্যমে সিপিডিকে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের পরামর্শও প্রদান করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।