প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন লবণ মিল মালিকরা

দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় লবণের নামে বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেট আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2019, 01:14 PM
Updated : 23 July 2019, 01:14 PM

একই সঙ্গে ঈদুল আজহায় কোরবানির চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে দেশে পর্যাপ্ত লবণের মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি নুরুল কবির। লবণের দাম বাড়ার কোন শঙ্কা নেই। ৭৫ কেজি লবণের বস্তা ৭০০ টাকার ওপরে উঠবে না।

“চাহিদা, উৎপাদন ও ঘাটতি নিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে লবণমিশ্রিত সোডিয়াম সালফেট খেতে বাধ্য করা হচ্ছে সবাইকে। এই আমদানির কারণে লবণ কারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চাষীদের লবণ অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে।”

এই পরিস্থিতিতে দেশীয় লবণ চাষী ও মিল মালিকদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নুরুল কবির।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, দেশি লবণ চাষী এবং লবনের মিল মালিকদের বাঁচানোর জন্য লবন আমদানি নিষিদ্ধ হলেও আইনের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে দেশে উৎপাদিত লবণের চেয়ে ২ টাকা কমে লবণ জাতীয় পন্য আমদানি করে দেশি লবণ শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে।

নুরুল কবির বলেন, দেশীয় লবণ চাষীদের রক্ষার জন্য দেশে আইন আছে। আমরা যে লবণ উৎপাদন করি অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড সেটি আমদানি করা যায় না। আর কখনো যদি ঘাটতি থাকে সেই ঘাটতি মেটাতে আমদানি করতে গেলে প্রায় ১০০ শতাংশ সরকারকে কর দিতে হয়।

“আর আমাদের দেশীয় লবণের উৎপাদন মূল্য বা পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ১১ টাকায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমদানি করা লবণ মাত্র ৯ টাকায় দেশের বাজারে কেনাবেচা হচ্ছে।”

“আমরা খবর নিয়ে জানতে পেরেছি এই লবণ গুলো আসলে সোডিয়াম ক্লোরাইড নয় বরঞ্চ এগুলো সোডিয়াম সালফেট। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে দেখতে খুবই স্বচ্ছ। আমাদের উৎপাদিত লবণ দেখতে একটু কালচে। এ কারণে আমরা বাজার হারিয়ে ফেলছি আমাদের লবণ অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে লবণের মত পণ্য দেশে বিক্রি করে একটি শ্রেণী টাকা কামাচ্ছে।”