এখন নিজেরাই ‘কান্ট্রি অব অরিজিন’ ঘোষণা দেবেন রপ্তানিকারকরা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নিজেই ‘কান্ট্রি অব অরিজিন’ ঘোষণা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবি এতোদিন এই ঘোষণা দেওয়ার দায়িত্বে ছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2019, 07:27 PM
Updated : 21 July 2019, 07:27 PM

স্বল্পোন্নত দেশে উৎপাদিত পণ্যের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জিএসপি বা শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চালু করে। এই স্কিমের অধীনে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের জন্য ইপিবি থেকে কান্ট্রি অব অরিজিন সনদ দেওয়া হয়, যা দিয়ে রপ্তানিকৃত পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা লাভ করে।

২০১০ সাল থেকে কান্ট্রি অব অরিজিন সনদ-এর পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে ইইউ। পরিবর্তিত পদ্ধতিতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নিজেই তার পণ্যের ‘কান্ট্রি অব অরিজিন’ সনদ জারি করতে পারবে। তবে সেজন্য কোম্পানিগুলোকে ইইউর কেন্দ্রীয় ডেটাবেইজে ইলেক্ট্রনিক রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে (আরইএক্স) নিবন্ধিত হতে হবে।

রোববার কারওয়ানবাজারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ইলেক্ট্রনিক রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম বা আরইএক্স নিবন্ধনের সনদ হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

কোম্পানিগুলা হচ্ছে- জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স, রিফাত গার্মেন্টস, স্কয়ার ফ্যাশনস, নোমান টেরিটাওয়েল, সী মার্কবিডি, আকিজ জুট মিলস, প্রাণ এগ্রো, কারুপণ্য রংপুর, ইউনিগ্লোরি সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইউনিভার্সেল জিন্স।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ছয় হাজার রপ্তানিকারককে এই সনদ দিতে হবে। সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধায়ন থাকবে।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করার জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে সততার প্রয়োজন। যাতে করে দেশের সুনাম ও পণ্যের সুনাম নষ্ট না হয় রপ্তানিকারকদের সেদিকে নজর দিতে হবে।

ইপিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, এতদিন গড়ে প্রায় হাজারখানেক জিএসপি সনদ বা কান্ট্রি অব অরিজিন সনদ দিতে হত ইপিবিকে। সেজন্য ইপিবির বড় একটি জনশক্তিকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। এখন তারা অন্যান্য গবেষণামূলক কাজে মনোযোগ দিতে পারবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসার প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলেই তারা আরইএক্স সনদ দিচ্ছে।

বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, সব সেক্টরে প্রতিদ্বন্দ্বীরা অনেক শক্তিশালী। তাই পণ্যের মান নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও সমস্য সৃষ্টি হওয়ার আগেই তা যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশি পণ্যের বৃহত্তম বাজার। রপ্তানি আয়ের ৫৬ দশমিক ৩৯ ভাগ আসে এই বাজার থেকে।