বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ল্যাপটপ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, “দেশে ৫ কোটি ল্যাপটপের চাহিদা আছে আমাদের। দরকার প্রতিটি স্কুলে কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য। ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও ট্যাবের গুরুত্ব।
“তবে শুধু পুরনো প্রযুক্তি নিয়ে বসে থাকলেই চলবে না। নতুন প্রযুক্তিও যুক্ত করতে হবে ল্যাপটপ আর অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যে।”
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে উৎপাদিত ল্যাপটপ ইতোমধ্যে নাইজেরিয়া ও নেপালে রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব প্রান্তে ‘হাই স্পিড’ ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোস্তাফা জব্বার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ল্যাপটপ ও ট্যাব নির্মাতা স্টার টেক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ডিরেক্টর মাহাবুব আলম রাকিব, আসুস গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের কান্ট্রি গ্লোবাল ম্যানেজার আশিক খান, ডেল বাংলাদেশের মার্কেটিং ম্যানেজার প্রতাপ সাহা, এইচপি বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউশন ও রিটেইল বিজনেসের ইমরান খান, লেনোভোর ম্যানেজার সেলস রাশেদ কবির উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হয়েছে তিন দিনের ‘ইসেট ল্যাপটপ ফেয়ার ২০১৯’।
এক্সপো মেকারের আয়োজনে এটি দেশের ২১তম ল্যাপটপ প্রদর্শনী। ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রদর্শনী ও বিক্রির আয়োজনটি শনিবার পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মেলায় ল্যাপটপ ব্র্যান্ডগুলোর সর্বশেষ মডেলের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক যন্ত্রাংশও পাওয়া যাচ্ছে। সব ধরনের পণ্যেই পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ ছাড় এবং সঙ্গে উপহারও।