বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন পার্কের জেনারেল ম্যানেজার এইচ এম মঞ্জুরুল হক।
মঞ্জুরুল হক বলেন, এখানকার উৎপাদিত পণ্য বর্তমানে বিশ্বের ১৪১টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। প্রাণ-আরএফএল গত পাঁচ বছরে ২২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করেছে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। এখানে কারখানায় কর্মরত লোকবলের ৮০ ভাগই স্থানীয়।
তিনি জানান, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় উন্নত শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণেও কাজ করছে গ্রুপটি। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ কারখানা সংলগ্ন একটি স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এই স্কুলে প্রায় ৬শ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
মাত্র পাঁচ বছরে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এ অঞ্চলের মানুষের গর্বে পরিণত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মতবিনিময় সভায়েআরও বক্তব্য রাখেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল।
তিনি বলেন, “মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বর্তমানে চারটি ইটিপি রয়েছে যার মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৬৬ লাখ লিটার তরল বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব, যেখানে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৪৫ লাখ লিটার তরল বর্জ্য উৎপাদিত হয়।”
লিকুইড বর্জ্য ইটিপির মাধ্যমে পরিশোধন করা হয় আর সলিড বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয় বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ছাড়পত্র পেয়েছে পার্কটি। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তারা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিবেশ বিষয়ের তদারকি করে থাকেন।
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা ইটিপিসহ হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ২০১৪ সালে হবিগঞ্জের ওলিপুরে ২২০ একর এলাকা জুড়ে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলে। কারখানায় বর্তমানে ফ্রুট ড্রিংক, বেভারেজ, ক্যান্ডি, লিকুইড গ্লুকোজ, বিস্কুট, কনফেকশনারি, ইলেকট্রিক ক্যাবলস, ফ্যান, মেলামাইন, বাইসাইকেল, এমএস ও জিআই পাইপ, টয়লেট্রিজসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হচ্ছে।