ঢাকার ‘ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ হিসেবে মর্যাদা পাওয়া উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘ঢাকা অ্যাজ দ্য ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম-২০১৯’ শিরোনামের অনুষ্ঠানটি হবে দুইদিন।
গত বছর আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোর পর্যটন মন্ত্রীদের দশম সম্মেলনে ২০১৯ সালের জন্য ঢাকাকে ‘ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ওই সম্মেলনে মুসলিম ফ্রেন্ডলি ট্যুরিজমকে গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং হিসেবে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে সব দেশ সম্মত হয়।
বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা ওআইসিভুক্ত দেশগুলো ব্যবসা বাণিজ্য, ট্যুরিজম সব ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারি, সেই সুযোগটা আমাদের রয়েছে। আমরা সেদিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।”
ওআইসির ২০১৮ সালের একটি প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে মুসলিম পর্যটকের সংখ্যা ১৫৬ মিলিয়ন, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০ মিলিয়ন। একই বছর সারা বিশ্বের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ হবে মুসলিম।
“সুতরাং ইসলামী পর্যটনকে বিশ্ব বাণিজ্য ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারবে।”
ওআইসি দেশগুলোতে পর্যটনের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ এবং ভিসা সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্র্যান্ডিং ও মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
“আমাদের স্বপ্ন পূরণে পর্যটন খাতের বিকাশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এক্ষেত্রে ইসলামী পর্যটন আমাদের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে আমাদের সবার একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ওআইসি রাষ্ট্রসমূহের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য আমার প্রচেষ্টা, সমর্থন ও সহযোগিতা সব সময় থাকবে।”
বাংলাদেশে পর্যটনের বিকাশে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
মুসলিমদের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন খেলতে না পারে, সে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, ওআইসির সহকারি মহাসচিব মুসা কুলাকলিকাইয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রমুখ।