খনি এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে পরিচালিত ‘জীবিকা’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শুরুর অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের আওতায় শেভরন উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সঙ্গে যৌথভাবে ২০১৫ সাল থেকে ‘জীবিকা’ প্রকল্প চালু করে সিলেটের শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, সদর ও জকিগঞ্জ উপজেলায়।
বৃহস্পতিবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জীবিকা-২’ প্রকল্প চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়, যা চলবে ২০২২ সাল পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহসানুল জব্বার বলেছেন, “শেভরনের গ্যাসকূপগুলো বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ করছে। তাই স্থানীয়দের উচিৎ, তাদেরকে নির্বিঘ্নে খনি পরিচালনা কাজে সহযোগিতা করা।”
পেট্রোবাংলার সঙ্গে উৎপাদন-বণ্টন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে তিনটি ব্লকে বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে আসছে শেভরন।
ওই তিন ক্ষেত্রে থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়, যা বাংলাদেশের প্রতিদিনের গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৫৫ শতাংশ। গ্যাস ছাড়াও তিনটি ক্ষেত্র থেকে উপজাত হিসেবে প্রতিদিন তিন হাজার ব্যারেল তরল হাইড্রোকার্বন উৎপাদন করে আসছে শেভরন।
শেভরন চীনা একটি কোম্পানির কাছে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এলেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও প্রকাশিত হয়নি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিলেট গত ৩০ মাসে প্রকল্পের আওতায় দুই হাজার বিনিয়োগকারী তৈরি করা হয়েছে, যারা নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাদেরকে দেখে দেখে গ্রামের অন্যান্য মানুষও পরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত হচ্ছে।
শেভরন বাংলাদেশের কর্মকর্তা চৌধুরী আদনান জামান বলেন, শেভরন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। সমাজের সব স্তরের মানুষ তাদের জনকল্যাণমূলক কাজের সুবিধা ভোগ করতে পারে। প্রথমিক শিক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক, ঠোটকাটা রোগের চিকিৎসা, ব্যবসা প্রশিক্ষণ রয়েছে তাদের কর্মসূচিতে।
শেভরন বাংলাদেশের পরিচালক ইসলামইল চৌধুরী, শেভরন এশিয়ার মহা ব্যবস্থাপক আলেক্সান্ডার ইয়েল্যান্ড, ব্র্যাকের কমিউনিটি এম্পাওয়ারমেন্ট বিভাগের পরিচালক আনা মিনজি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।