এই কর বহাল থাকলে সম্পূর্ণ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর প্রতি বস্তা সিমেন্টের উৎপাদন খরচ ৪২ টাকা বেড়ে যাবে এবং অবকাঠামো নির্মাণ খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে সংগঠনের এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সোমবার রাজধানীর বাড্ডায় সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিসিএমএ সভাপতি ক্রাউন সিমেন্টের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর খাতের অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ধারা সংশোধন করে সিমেন্ট খাতের সব ধরনের কাঁচামালের আমদানি পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ এআইটি চূড়ান্ত করদায় হিসাবে ধরা হয়েছে।
“স্থানীয় পর্যায়ে সিমেন্ট সরবরাহের ওপর তিন শতাংশ উৎসে কর আগে থেকেই চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত। ফলে আমদানি পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ এআইটি মিলে সিমেন্টে শিল্পে আট শতাংশ অগ্রিম কর চূড়ান্ত করদায় হিসাবে গণ্য হচ্ছে, যা এই শিল্পের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হবে। এর বাইরে ভ্যাট আইন ২০১২ কার্যকর হতে চলায় আরও পাঁচ শতাংশ ভ্যাট এই বছর থেকে দেওয়া শুরু করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোসেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল্লাহ বলেন, “সম্পূর্ণ আমদানিকৃত কাঁচামালনির্ভর সিমেন্ট শিল্পের ওপর যে হারে কর প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে উৎপাদন খরচ ১০ শতাংশ বেড়ে যাবে। প্রতি বস্তা সিমেন্টের দাম বেড়ে যাবে অন্তত ৪২ টাকা। ফলে আবাসন খাত, সরকারের বড় বড় প্রকল্প এবং অন্যান্য খাত স্থবির হয়ে পড়বে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪২টি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক উৎপাদন তিন কোটি টন। গত ১০ বছর ধরে গড়ে ১২ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধির পথে রয়েছে এই শিল্প। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি সিমেন্ট রপ্তানি করে থাকে।