মোবাইল সেবায় করের ‘বোঝা’ বাতিল চায় গ্রাহক সংগঠন

মোবাইল সিম ও রিম কার্ডভিত্তিক মোবাইল ফোন সেবা খাতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ না করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।   

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 03:04 PM
Updated : 17 June 2019, 03:04 PM

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে টেলিযোগাযোগ সেবায়  ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।

তাদের অভিযোগ, বাজেটে টেলিযোগাযোগ সেবায় ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকদের ‘সুকৌশলে করের ফাঁদে আটকানো’ হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,  “এই খাত থেকে অদৃশ্য অর্থ আদায় করা যায় বলেই এ খাতে সবচেয়ে বেশি চাপ প্রয়োগ করে রাজস্ব আদায় করা হয় বলে মনে করি।”

জনস্বার্থে করা এক একটি রিট আবেদনে সাড়া দিয়ে গত বছর ডিসেম্বরে আগামীতে গ্রাহকের মতামত না নিয়ে মোবাইল ফোনের কলরেট বাড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট।

আদালতের সেই নির্দেশনা উল্লেখ করে মহিউদ্দিন বলেন,  “আমরা হাই কোর্টের পরবর্তী নির্দেশনায় থাকব। যদি গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো প্রকার অর্থ আদায় করা হয় তার জন্য অপারেটর ও সরকার দায়ী থাকবে।”

বাজেটে করা প্রস্তাব অনুযায়ী, সম্পূরক শুল্ক মোট ১০ শতাংশ বাড়ালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেউ যদি ১০০ টাকার সেবা নিতে চান, তাহলে ৭৮ দশমিক ২৭ টাকার সেবা নিতে পারবেন।

বাকি ২২ দশমিক ৭২ টাকা যাবে সরকারের পকেটে।

এছাড়া সিমের উপর কর দ্বিগুণ বাড়িয়ে ২০০ টাকা এবং মোবাইল কোম্পানির আয়ের উপর সর্বনিম্ন শুল্ক শূন্য দশমিক পঁচাত্তর  শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে বাজেটে।  

সিমের উপর কর দ্বিগুণ, মোবাইল কোম্পানির আয়ের উপর শুল্ক বৃদ্ধি এবং সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হলে গ্রাহকের উপর এই  ‘বোঝা’ চাপবে বলে মনে করেন মহিউদ্দিন।

সার্বিকভাবে বাজেটের পরিসর বাড়লেও জনসাধারণকে সুকৌশলে করের ফাঁদে আটকানো হয়েছে জানিয়ে সংগঠন থেকে বলা হয়, কলরেট বৃদ্ধি, ইন্টারনেট মূল্য বৃদ্ধি ও ডিভাইসের মূল্য বৃদ্ধি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণকে বাধাগ্রস্থ করবে।

মহিউদ্দিন বলেন,  “কর প্রত্যাহার না করলে আমরা রাজপথে নামবো।”

নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব আসায় বাড়তে যাচ্ছে স্মার্টফোনের দামও; তবে ফিচার ফোনের দামে হেরফের হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।