১৮ বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সির কাছে বকেয়া ২০ কোটি টাকা: প্রতিমন্ত্রী

বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানিয়েছেন, ১৮ ট্রাভেল এজেন্সির কাছে বিমানের বকেয়া রয়েছে ২০ কোটি দুই লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ টাকা।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 02:14 PM
Updated : 17 June 2019, 02:14 PM

এসব টাকা আদায়ে স্থানীয়ভাবে মামলা করা হয়েছে বলে সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে জানান তিনি।

ঢাকা-৭ আসনের সদস্য হাজী মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানান, বিদেশে বাংলাদেশ বিমানের ট্রাভেল এজেন্টের সংখ্যা দুই হাজার ১৮৬। এর মধ্যে ১৮টি এজেন্টের কাছে বিমানের বকেয়া পাওনা আছে ২০ কোটি দুই লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৯ টাকা। এসব টাকা আদায়ে স্থানীয়ভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বকেয়া পাওনা ট্রাভেল এজেন্সীর মধ্যে কলকাতার মেসার্স কুকা ট্রাভেলসের কাছে ২১ লাখ ১০ হাজার ৬৬৯ টাকা, জেদ্দার আল হামরা ট্রাভেলের কাছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৯০৮ টাকা, জেদ্দার আলোকলবি ট্রাভেলের কাছে ৩৮ হাজার ৫৯২ টাকা, রিয়াদের মেসার্স অসফার ট্রাভেল এন্ড টুরিজমের কাছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৫২২ টাকা, লন্ডনের মেসার্স ইউনাইটেড ট্রাভেলসের কাছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭ টাকা, লন্ডনের মেসার্স বসুন্ধরার কাছে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৩ টাকা, লন্ডনের মেসার্স নীল আকাশের কাছে ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৯ টাকা, লন্ডনের মেসার্স কুশিয়ারার কাছে ৩ কোটি ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ১৫ টাকা, লন্ডনের মেসার্স কেএমসি ট্রাভেলস লিমিটেডের কাছে ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ৭৩৫ টাকা, লন্ডনের এইচএসি ট্রাভেলসের কাছে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৫০৩ টাকা, লন্ডনের মেসার্স এয়ার এক্সপ্রেস ট্রাভেলস এন্ড টুর্সের কাছে ৪১ লাখ ৪২ হাজার ১০৩ টাকা, কুয়েতের ইন্টারনিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাছে ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫১ টাকা, কুয়েতের সালওয়া ট্রাভেল এন্ড টুরিজমের কাছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫ টাকা, কুয়েতের আল ফরওয়ানিয়া ট্রাভেলসের কাছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩ টাকা, কুয়েতের রামসিস ট্রাভেলসের কাছে ৫ লাখ ১২ হাজার ৭৫ টাকা, কুয়ালালামপুরের মেসার্স তারা ট্রাভেলসের কাছে ১৭ লাখ ১১ হাজার ৫৪৯ টাকা ও দাম্মামের আল নাসের ট্রাভেলের কাছে ৫ কোটি ৪১ লাখ ৫৮৮ টাকা।

চট্টগাম-১১ আসনের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, পরিবেশ দূষণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে মানব মৃত্যু হার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি পর্যায়ে কোনো সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়নি। এ বিষয়ে পরিসংখ্যানগত সঠিক তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও বিধি-বিধানের জোরদার প্রয়োগসহ বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। 

ফরিদপুর-১ আসনের সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, দেশে সংরক্ষিত বনের আয়তন ১৮ লাখ ১৮ হাজার ২১৮ দশমিক ৭৯ একর। এই বন ভূমিতে ৩৯০ প্রজাতির বৃক্ষ আছে। প্রতিটি প্রজাতির ক্যানোপি নির্ণয়ের শতকরা হার বিষয়ে গবেষণা চলমান।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে শাহাব উদ্দিন বলেন, “এটা সত্য যে জনসংখ্যার তুলনায় ৩ গুণ গাছ ঢাকা শহরে নেই। রাজধানীকে পরিবেশ বিপযয় হতে রক্ষার্থে ব্যাপক হারে গাছ লাগানোর লক্ষ্যে বন অধিদপ্তর কর্তৃক জাতীয় পর্যায়ে বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতি বছরই এ মেলায় প্রায় ১২ লাখ থেকে ১৩ লাখ বনজ, ফলজ এবং ঔষধি গাছের চারা বিক্রয় হয়ে থাকে।”

জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধিরোধে বন অধিদপ্তরে আওতায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং রাজস্ব বাজেটের আওতায় সড়ক, রেল ও বাঁধের পাশে প্রতিবছরই গাছ লাগানোর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থ-বছরে বিভিন্ন সড়ক, রেল ও বাঁধের পাশের ১৩০০ কিলোমিটার বাগান সৃজন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন শাকসবজি (আলু ব্যতিত) ও ৪৮ লাখ মেট্টিক টন ফলমূল উৎপাদিত হয়।

দেশে প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদিত হলেও প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও সংরক্ষণ ও অব্যবস্থাপনার ফলে বিপণন পর্যায়ে তা প্রায় শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ নষ্ট হচ্ছে।

এ ক্ষতি কমাতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধমে বেশকিছু কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে এবং কিছু বাস্তবায়নাধীন বলে কৃষিমন্ত্রী জানান।