এই মেলার মাধ্যমে নীতিমালা না থাকার কারণে হিসাবের বাইরে থাকা স্বর্ণ বৈধতার আওতায় আসবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার ঢাকায় সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে সাধারণ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস। আগামী ২৩ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী স্বর্ণকর মেলার প্রস্তুতি হিসাবেই এই সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২৩ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত তিন দিন ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা অঞ্চলের জন্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ ও ২৪ জুন মেলা হবে বিভাগীয় শহরগুলোতে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, করমেলার মাধ্যমে স্বর্ণ ব্যবসার স্বীকৃতি অর্জিত হবে। অনেকে এই করমেলা নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
“এই মেলার কারণে ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হবে না। বরং প্রতি ভরি স্বর্ণের জন্য এক হাজার টাকার বিনিময়ে স্বর্ণ বৈধতা অর্জন করবে।”
তিনি বলেন, দেশের জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে ২৮ লাখ মানুষ জড়িত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে স্বর্ণের বৈধতা ছিল না।
“বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছায় অবশেষে আমরা স্বর্ণ নীতিমালা পেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকও সেই নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স নীতিমালাও প্রকাশ করেছে।”
এই নীতিমালার ফলে দেশে-বিদেশে তৈরি কোনো স্বর্ণালঙ্কার আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আগরওয়ালা বলেন, এতে করে দেশীয় শিল্প সুরক্ষা পাবে। কেবল স্বর্ণের বার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ সভায় সারা দেশের ৬৪টি জেলা থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।