বিএসটিআইএ মান ফিরে পেল ২৬টি পণ্য

গুণগত খারাপ থাকায় বাজার থেকে যে ৫২টি ব্র্যান্ডের পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল বিএসটিআই, চূড়ান্ত পরীক্ষার এর মধ্যে ২৬টিকে ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2019, 05:41 PM
Updated : 11 June 2019, 05:42 PM

মঙ্গলবার বিএসটিআই এর সার্টিফিকেশন মার্কস বা সিএম বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মান ফিরে পাওয়া ২৬টি ব্র্যান্ডের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-

১. দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটার, তোপখানা রোড, ঢাকা। দিঘী ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার।

২. আররা ফুড এন্ড বেভারেজ লি., উত্তরা, ঢাকা। আররা ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার।

৩. এসিআই সল্ট লি., মুড়াপাড়া, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ।

৪. এসিআই ফুড লি., কুটিরচর, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ। এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুড়া।  

৫. মধুমতি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, দামোদর, ফুলতলা, খুলনা।  মধুমতি ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ। 

৬. নিউজিল্যান্ড ডেইরী প্রোডাঃ বিডি লি., রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। ডুডলস্ ব্র্যান্ডের নুডুলস।         

৭. প্রাণ এগ্রো লি., একডালা, নাটোর। প্রাণ ব্র্যান্ডের কারী পাউডার।       

৮. সিটি অয়েল মিল (ইউনিট-১), কোনাপাড়া, ডেমরা, ঢাকা। তীর ব্র্যান্ডের সরিষার তেল।         

৯. গ্রীন ব্লিসিং ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লি., রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। জিবি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল।  

১০. তানভির ফুড লি., মেঘনাঘাট, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ। ফ্রেশ ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া।        

১১. বাঘাবাড়ী স্পেশাল ঘি কোং, ৩৮০/বি, দক্ষিণ গোড়ান, ঢাকা। বাঘাবাড়ী স্পেশাল ব্র্যান্ডের ঘি।           

১২. মধুবন ব্রেড এন্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লি., পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম। মধুবন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই।      

১৩. ওয়েল ফুডস লিমিটেড, আতুরার ডিপো, ষোলশহর, চট্টগ্রাম। ওয়েল ফুড ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই।

১৪. মিঠাই সুইটস এন্ড বেকারি, জালালাবাদ, চট্টগ্রাম। মিঠাই ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই।

১৫. মধুফুল এন্ড প্রোডাক্টস, বিসিক শি/ন, গোটাটিকর, সিলেট। মধুফুল ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই।

১৬. ইমতিয়াজ ব্রেড এন্ড ফুড প্রোডা., ৩৯৯, আছাদগঞ্জ, চট্টগ্রাম। মেহেদী ব্র্যান্ডের বিস্কুট।

১৭. নিশিতা ফুডস, বিসিক শি/ন, খাদিমনগর, সিলেট।   নিশিতা ব্র্যান্ডের সূজি।

১৮. মঞ্জিল ফুডস এন্ড প্রোডাক্টস, বিসিক শি/ন, গোটাটিকর, সিলেট। মঞ্জিল ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া।     

১৯. কাশেম ট্রেডার্স, ডাঁসমারী, বিনোদপুর, মতিহার, রাজশাহী। ডলফিন ব্র্যান্ডের মরিচের গুড়া।

২০. কাশেম ট্রেডার্স, ডাঁসমারী, বিনোদপুর, মতিহার, রাজশাহী। ডলফিন ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া।

২১. আমিরুল ট্রেডার্স, ডাঁসমারী, বিনোদপুর, মতিহার, রাজশাহী। সূর্য ব্র্যান্ডের মরিচের গুড়া।

২২. কে আর ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ লি., সীতাকু-, চট্টগ্রাম। কিং ব্র্যান্ডের ময়দা।

২৩. গ্রীনল্যান্ডস মিল্ক প্রোডাক্ট, ৯৫, শরীফ হোসেন সড়ক, পাবলা, দৌলতপুর, খুলনা। গ্রীন ল্যান্ডস ব্র্যান্ডের মধু।

২৪. রূপসা ফুড প্রোডাক্টস, ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড, ঈদগাহ্, চট্টগ্রাম। রূপসা ব্র্যান্ডের ফার্মেন্টেড মিল্ক।

২৫. শান ফুড, জেল খানার মোড়, কুষ্টিয়া। শান ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া এবং       

২৬. তাঈয়েবা ফুড প্রোডাক্টস, বুধল, চান্ডিয়ারা, সদর, বি-বাড়ীয়া। মক্কা ব্র্যান্ডের চানাচুর।

৫২টি পণ্যকে মানহীন উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করার পর এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করে উচ্চ আদালত। ২২ মে তারিখের মধ্যে এই পণ্যগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

বিএসটিআইর সিএম বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, যেসব পণ্য মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছিল তাদেরকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মানোন্নয়নের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল। তারা যখন নিজেদের প্রস্তুত বলে জানায় তখন আবার কারখানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে যারা উত্ত্বীর্ণ হয়েছে তাদের নিষিধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাশাপাশি পুনরায় বিপণন শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।