জুস-বার তৈরিতে প্রাণ-এর আম সংগ্রহ শুরু

ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরির জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু করেছে প্রাণ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2019, 02:12 PM
Updated : 9 June 2019, 02:12 PM

রাজশাহীর গোদাগাড়ি বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও নাটোরের একডালায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কারখানায় এই আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম চলছে।

রোববার প্রাণের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছর ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণ গ্রুপ।

প্রাণ-এর বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও এর আশেপাশের অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত। কারখানায় ২৮ মে থেকে গুটি আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু হয়েছেম যা চলবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর আশ্বিনা আম থেকে পাল্প সংগ্রহ করা হবে। কারখানায় আম সংগ্রহ চলবে আমের সরবরাহ থাকা পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, “কারখানায় অত্যাধুনিক মেশিনে সম্পূর্ণ অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে আমের পাল্পিং করা হচ্ছে। অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে পাল্প সংরক্ষণ হওয়ায় দুই বছর পর্যন্ত তা ব্যবহার উপযোগী থাকে। এই প্লান্টে আম পরিষ্কার, বোটা ও খোসা সরানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাল্প প্যাকেটজাত থেকে শুরু করে এর সাথে জড়িত সব কাজ সম্পূর্ণ হাতের স্পর্শ ছাড়াই করা হচ্ছে।

“আমের বর্জ্য দুটি অংশ বিভক্ত হয়ে খোসা থেকে জৈব সার ও আটি থেকে জ্বালানি তৈরি হওয়ায় কারখানাটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। কারখানায় প্রতিদিন ৪০০ টন আম ক্র্যাশিং করার সক্ষমতা রয়েছে।“

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, “প্রতিবছরের মতো চলতি মৌসুমেও নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা থেকে আম সংগ্রহ করছে প্রাণ। সংগ্রহের পর এসব আম পাল্পিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজশাহী ও নাটোরের কারখানায়। এই পাল্প থেকেই সারা বছর তৈরি হচ্ছে ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।“