সোমবার দুপুরে ঈদের কেনাকাটায় বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ায় ঘণ্টাকাল সময়ের জন্য থমকে ছিল ক্রেতাদের চলাফেরা।
এদিন শ্যামলী, আদাবর, মিরপুর, গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে গত দুইদিনের তুলনায় কম ক্রেতা দেখা গেছে। তবে শেষ মুহূর্তে যারাই এসেছেন, তারাই দুই হাত ভরে কিনেছেন।
মিরপুর শপিং সেন্টারে সিগনেচার নামের একটি দোকানের ব্যবস্থাপক রাকিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের অধিকাংশ পণ্যই হচ্ছে আনস্টিচ (সেলাই ছাড়া থ্রি পিস)। তাই ঈদের আগ মুহূর্তে এসে এগুলোর চাহিদা কমে গেছে।
তবুও হাতেগোনা কিছু ক্রেতা উপহার দেওয়াসহ অন্যান্য প্রয়োজনে এসব থ্রি পিস কিনছেন।
একই কথা বলেন পাশের আরেকটি দোকানের ব্যবস্থাপক তাহেরা বেগম।
তার মতে, এবার ঈদের কেনাকাটা হয়েছে খুব কম সময় নিয়ে। অনেক আগে অফিস আদালত বন্ধ হওয়ার সুযোগে অনেকেই কেনাকাটা শেষ না করেই বাড়ি ফিরেছেন। গত এক সপ্তাহের তুলনায় সোমবার বেচাকেনা কিছুটা কমে এসেছে।
শাড়ির পরিচিত ব্র্যান্ড ‘বি প্লাস’ মিরপুর শাখার ব্যবস্থাপক তারেকুল ইসলাম জানান, ঈদে শাড়ির চাহিদা এখনও তুঙ্গে।
ব্যতিক্রম দেখা গেছে ‘অঞ্জনস’ এর বিক্রয় কেন্দ্রে। দুপুরে বৃষ্টির সময়েও দোকানটিতে ছিল ক্রেতার ভিড় ছিল।
আয়েশা বেগম নামের এক ক্রেতা জানান, রোজার মাঝামাঝি সময়েও তিনি কিছু কেনাকাটা করেছেন। ঈদে বাড়ি ফেরার তাড়া নেই। রোদ কম থাকায় পরিবেশ ভালো দেখে আবার বেরিয়েছেন।
মিরপুরে দীর্ঘদিনের পুরোনো ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘কিংশুক প্রথমা’র ব্যবস্থাপক পায়েল হাসান বলেন, গত তিনদিন তাদেরকে বেচাকেনার ব্যস্ততায় নাকাল হতে হয়েছে। সে তুলনায় সোমবার ভিড় কিছুটা কম মনে হয়েছে তার।
গত এক সপ্তাহে এই এলাকায় বেচাকেনার ব্যাপক ব্যস্ততা দেখা গেলেও এদিন ভিড় ছিল কিছুটা কম।
জাপান গার্ডেন সিটির পাশে টোকিও স্কয়ার শপিং মলের ‘রূপসাগর’ নামের দোকানের বিক্রয়কর্মী জানান, এবার ঈদে তাদের বিপণিতে ব্যাপক ক্রেতা সমাগম হয়েছে। অন্য সময়ের তুলনায় এবার বিক্রি বেশ সন্তোষজনক।
একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর সড়ক ও গুলশান এলাকার বিপণিগুলোতেও।