বিজিএমইএ ও শ্রমিক নেতার কথার ফারাক

ঈদের ছুটির আগে সংগঠনের সদস্যভূক্ত সব পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে বলে বিজিএমইএ দাবি করলেও শ্রমিক নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2019, 07:31 PM
Updated : 2 June 2019, 07:45 PM

শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, বোনাস তো দূরের কথা বেতন বাকি থাকার তথ্যও পাচ্ছেন তারা।

রোববার রাতে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কাছে আসা প্রতিবেদন অনুযায়ী বিজিএমইএর সদস্যভূক্ত সব কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে। ৯০ শতাংশ কারখানায় মে মাসের বেতনও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবারের মধ্যেই বাকি থাকা দেড়শ কারখানায় মে মাসের বেতন দিয়ে ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হবে।

অন্যদিকে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছোট ও মাঝারি অনেক কারখানায় মাসের বেতন দেওয়া হয়নি বলে তাদের কাছে অভিযোগ আসছে। বিশেষ করে যেসব কারখানা ‘সাব কন্ট্রাক্টে’ কাজ করে, তাদের অনেকেই বেতন-বোনাস দেয়নি।

তিনি বলেন, গাজীপুরের মৌচাক, কোনাবাড়ি, জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, ঢাকার খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ার অনেক কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি।

জলি বলেন, “মালিকরা শেষ মুহূর্তে বেতন-বোনাস পরিশোধের তারিখ রেখেছে কৌশলগত কারণে। শেষ মুহূর্তে বেতন তুলে বাড়ি ফিরতে গিয়ে শ্রমিকরা ব্যাপক ঝামেলার মধ্যে পড়েন। বাড়ি ফিরতেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর বেতন বোনাস না পেলে তখন আর তাদের কিছুই করার থাকে না।”

রুবানা হক সাংবাদিকদের বলেন, এবার ৯১৬টি কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধের বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন তারা। কারখানাগুলোর অবস্থানের ভিত্তিতে এগুলোকে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করে বিজিএমইএর ১৫টি দল এসব কারখানার খবর নিয়েছে। পরে সেই তালিকা নেমে আসে ৬০০ কারখানায়।

“বিজিএমইএর প্রতিনিধি দল এই কারখানাগুলো নিয়ে গভীরভাবে কাজ করেছে। ৬৫টি কারখানার বেতন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করেছে।”

গত দেড় মাসে ৩০টি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজিএমইএর সর্বশেষ নির্বাচনের সময় ঢাকায় সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯৫৬টি।