গুলশানের পিংক সিটিতে ২৫ দোকানকে জরিমানা

পণ্যের গায়ে আমদানির তথ্য উল্লেখ না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে গুলশানের পিংক সিটি শপিং মলের ২৫টি দোকানকে মোট তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2019, 04:09 PM
Updated : 28 May 2019, 04:31 AM

রোববার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে এসব জরিমানা করা হয়।

অভিযানে পিংক সিটির ফ্যাশন পণ্যের শো রুম সেলিব্রেশনকে ৫০ হাজার, জেমস গ্যালারিকে ৫০ হাজার, পরী শাড়িকে ১০ হাজার, ভিবা শাড়িকে ১০ হাজার, সাবরিনাকে ১০ হাজার, স্রোতধারাকে ১০ হাজার,  মানাবিকে ১০ হাজার, নিডেন ওয়ার্ককে ১০ হাজার, কুন্দনকে ১০ হাজার, রেইনবো পারফিউম অ্যান্ড কসমেটিক্সকে ১০ হাজার, ডানহিল অপটিক্সকে ১০ হাজার, কিডস ওয়েকে ১০ হাজার, হীরা ফেব্রিক্সকে ৫ হাজার, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ডকে ১০ হাজার, অঞ্জলি জুয়েলার্সকে ১০ হাজার, সাবিহা ফ্যাশনকে ১০ হাজার, ভিভোকে ১০ হাজার, সিমরান ডিজাইনারকে ৫ হাজার, গয়না ঘরকে ৫ হাজার, স্টাইল ওয়ার্ল্ডকে ২০ হাজার, আব্রুজকে ৫ হাজার, পরিণীতা গোল্ডকে ১০ হাজার, কিওর জুয়েলার্সকে ১০ হাজার, বায়েজিদ এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার, শোভা ফেব্রিক্সকে ১০ হাজার ও ডালিম সুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সেলিব্রেশনের ব্যবস্থাপক নয়ন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের দোকানে কিছু চীনের তৈরি জুতা ও ভ্যানেটি ব্যাগ ছিল। এগুলোর গায়ে মেইড ইন চায়না লেখা থাকলেও আমদানিকারকের সিল ছিল না। বিষয়টি তাদের বিস্তারিত জানাও ছিল না।

সাবরিনা শাড়ির শাড়ির কর্মকর্তা জানান, তারা গাউছিয়া থেকে কিছু ভারতীয় থ্রি পিস এনে বিক্রি করছিলেন। এসব পণ্যে আমদানিকারকের সিল দিতে হবে এটা তাদের জানা ছিল না। তাছাড়া ব্যবসা ভালো না হওয়ায় তারা এদিকে নজর দেননি।

জেমস গ্যালারির আকতার হোসেন বলেন, “উনাদের চাওয়ার সঙ্গে আইনের ধারার মিল ছিল না। উনারা বলছিলেন, আমদানিকারকের তথ্য পণ্যের গায়ে থাকতে হবে। আমরা নিজেরাই চীন থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে বিক্রি করি। এসব পণ্যের গায়ে জেন্টস গ্যালারি লেখা ছিল।”

বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরও বিস্তারিত আলাপ করবেন বলে জানান তিনি।   

আমদানিকারকের স্টিকারবিহীন বিদেশি পণ্য বিক্রি এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভোক্তাকে যথাযথ সেবা না দেওয়ার অপরাধে সতর্কতামূলক এসব জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

অভিযানে তার সহযোগী ছিলেন সহকারী পরিচালক আতিয়া সুলতানা ও আফরোজা রহমান।