রোজার মাসের প্রথম ১৫ দিনেই এপ্রিল মাসের চেয়ে প্রায় সমান রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
রোববার বিকাশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোজার প্রথম ১৫ দিনে বিকাশের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকারও বেশি এসেছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এসেছিল ১২ কোটি টাকা। মার্চ মাসেও এই একই পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,ঝামেলা ছাড়াই কম সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিকাশে রেমিটেন্স পাঠানো সহজ হওয়ায় প্রবাসীরা এখন টাকা পাঠানোর জন্য বিকাশের মত মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসগুলো ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশী শ্রমঘন দেশ মালেশিয়া,সংযুক্ত আরব আমিরাত,দক্ষিণ কোরিয়া,সিঙ্গাপুর,ওমান,ইতালি ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিকাশে তাদের প্রিয়জনের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।
বিকাশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, বিকাশে পাঠানো রেমিটেন্স গ্রাহক সহজেই তার সুবিধাজনক সময়ে নিকটবর্তী এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশআউট করতে পারে। সহজ,দ্রুত,নিরাপদ ও বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এই লেনদেন অবৈধ হুন্ডিকে নিরুৎসাহিত করছে এবং দেশের বিদেশী মুদ্রার রির্জাভকে দিনদিন আরো শক্তিশালী করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ আরো কম খরচে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে দিতে রোজা ও ঈদ উপলক্ষে রেমিটেন্স গ্রহীতাদের জন্য বিনামূল্যে ক্যাশআউট এর অফার দিয়েছে বিকাশ।
রমজান মাসজুড়ে এবং জুনের ১০ তারিখ পর্যন্ত গ্রাহকের মোবাইলে প্রিয়জনের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বোনাস দিচ্ছে বিকাশ। ফলে এজেন্ট থেকে ক্যাশআউটে গ্রাহককে কোন বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে না। একজন গ্রাহক একদিনে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা এবং ক্যাম্পেইন চলাকালীন সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাবেন।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন সর্বোচ্চ পাঁচ বারের লেনদেনে বিকাশের এই অফার প্রযোজ্য হবে।
৬ মে থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন চলবে ১০ জুন পর্যন্ত।