তবে দোকানিরা বলছেন, ক্রেতা উপস্থিতি বেশ হলেও বিক্রি এখনও ‘আশানুরূপ’ নয়। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় হবে, বিক্রিও হবে খুব।
শুক্রবার ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেট্রো রেলের লাইন নির্মাণের জন্য কার্যত অচল হয়ে থাকা মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পূর্বপাশে রয়েছে শাহ আলী মার্কেট, তার বিপরীতে পশ্চিম পাশে মিরপুর-১ নম্বরমুখী রাস্তার পাশে জামা-জুতা, শাড়ি-চুড়ি ও অন্যান্য প্রসাধনীর দোকান। এই মার্কেট ও দোকানগুলোতে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা যায়।
“আমাদের এখানে ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের বিভিন্ন সুগন্ধি ও প্রসাধনী রয়েছে। ঈদে এর ব্যাপক চাহিদা হয়। এখনও ক্রেতা আসছে। আগামী সপ্তাহে বেচাকেনার ব্যস্ততা আরও বাড়বে বলে আশা করি।”
এই দোকানের মালিক ওয়াসিফ আহমেদও মনে করেন, তাদের বেচাকেনা আশানুরূপ হচ্ছে না।
“আমাদের এখানে দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চামড়া, রেকসিনের তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের জুতা রয়েছে। তবে ক্রেতাদের ভালো রেসপন্স এখনও পাচ্ছি না। অনেকে আসছে দেখছে, মুলামুলি করে ফিরেও যাচ্ছে।”
স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হাফিজুর রহমান মনে করেন, জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া।
“দুই বছর আগের ৫০০ টাকার জিনিস এখন ১২০০ টাকা দাম চাচ্ছে। পাকিস্তানি লন কাপড়ের একটি থ্রি পিস কিনলাম ১২০০ টাকায়। যে থ্রি পিসটা আগে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যেত সেটা এখন চাচ্ছে ৩৫০০ টাকা। বুঝেন অবস্থা!।”
সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা দেখা গেছে ‘ইরাবতী’ নামের একটি শাড়ির দোকানে। শাড়ি ছাড়াও মেয়েদের থ্রি পিস, কামিজ রয়েছে এই দোকানে।
মাহিম পয়েন্ট নামের আরেকটি দোকানের কর্মীরা জানান, ভারতীয়, পাকিস্তানি ও দেশীয় বিভিন্ন বুটিকের জামা রয়েছে। এগুলোর দাম এক হাজার থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে।
ঈদ বাজারে মিরপুরের জুতার দোকানগুলোও ছিল বেশ জমজমাট। মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কিছু দূর পশ্চিমে গেলেই রয়েছে জুতার দোকান।
কিরণ ফ্যাশন, প্রিয়াঙ্গন লেদার পয়েন্ট, স্টাইল জোন, খড়ম, লেদার টাচ ছাড়াও বিভিন্ন দেশীয় জুতার শো রুম রয়েছে। এসব দোকানে দুপুরের পর থেকেই ছিল ক্রেতাদের ভিড়।
সারা ব্রান্ডের বিক্রয়কর্মী শাওন জানান, ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ডেনিম পণ্য রয়েছে। শিশুদের বিভিন্ন পোশাক রয়েছে। মেয়েদের জন্য রয়েছে কুর্তি, কামিস, থ্রি-পিস, ওয়ান পিস, ওড়না ও ফ্রক রয়েছে।
ছেলেদের পোশাকগুলোর দাম ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে, আর মেয়েদের পোশাকের দাম সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।