বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা দায়ের করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি। রোজার মাস উপলক্ষে সরকারি এই সংস্থার নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি বিশেষ অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে।
বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য বিক্রি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাউরুটি-বিস্কুট উৎপাদন করার অপরাধে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় তুর্য ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরি, লাইসেন্স না থাকায় যাত্রাবাড়ীর বিক্রমপুর ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার, ধামরাইয়ের বেইজ পেপারস লিমিটেড, উত্তরার লা বামবা লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করার অপরাধে ফকিরাপুল এলাকার আল ইমাম রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার, এশিয়া গার্ডেন রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার, গাউসিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার, আব্দুল কুদ্দুস ভূইয়া স্টোরকে ২০ হাজার এবং আরামবাগের ঘরোয়া রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ভেরিফিকেশন সনদবিহীন ডিজিটাল স্কেলের ব্যবহার ও পণ্যের মোড়কে ওজন, মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং পণ্যের পরিচিতি উল্লেখ না করায় মিরপুরের মেসার্স রওজাত জেনারেল স্টোর এবং মেসার্স মুসলিম সুইটস অ্যান্ড বেকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওজনযন্ত্রে ভেরিফিকেশন সনদ না থাকায় সিলেটের কালিঘাট রোডের আখি স্টোর ও আলী স্টোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মানহীন পণ্য বিক্রি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে সুবিদবাজার এলাকার মিতালী রেস্তোরাঁকে ১০ হাজার, মধুফুলকে দুই হাজার, মোহনা সুপার স্টোরকে দুই হাজার ও ডেইলি সপকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পচা খেজুর বিক্রি করার অপরাধে রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকায় রিপনের খেজুরের দোকানকে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করার অপরাধে মেসার্স সেলিম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স গ্রহণ না করে দই বিক্রির অপরাধে কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকার মেসার্স সৌদিয়া হোটেল এবং ভেরিফিকেশন সনদ ছাড়াই ওজনযন্ত্রের বাণিজ্যিক ব্যবহার করার অপরাধে মেসার্স স্বর্ণালী সুইটস কনফেকশনারি অ্যান্ড স্টেশনারি ও মেসার্স দেব জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দইয়ের পাত্রে ওজন ও মূল্য উল্লেখ না থাকায় বগুড়ার সোনাতলা এলাকার মেসার্স সবুজ অ্যান্ড মামুন দধি ভান্ডারকে ২ হাজার এবং সিএম লাইসেন্স না থাকায় মেসার্স অদিতি দধি ভান্ডারকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।