মেয়র আসার পর মরিচের দাম কমে অর্ধেক

ঢাকার উত্তরায় ৬ নম্বর কাঁচাবাজারে এক দোকানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম হাঁকা হচ্ছিল ৮০ টাকা। স্বয়ং মেয়র ওই দোকানে হাজির হলে দোকানি দাম চাইলেন ৪২ টাকা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2019, 05:07 PM
Updated : 13 May 2019, 05:07 PM

কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। অতিরিক্ত দাম চাওয়ায় এবং মূল্য তালিকা না রাখায় ওই দোকানিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোজার মধ্যে বাজার পরিস্থিতি যাচাই করতে সোমবার হঠাৎ করেই উত্তরার ৬ নম্বর কাঁচাবাজারে হাজির হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি মাংসের দোকান, মুদি দোকান ও সবজি বাজারে গিয়ে দেখেন- নিয়ম মেনে সবাই মূল্যতালিকা রেখেছে কি না, নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না।

তার এই আকস্মিক পরিদর্শনের খবরে কয়েকজন দোকান মালিক তার দোকান ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান।

পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “নগরবাসীর প্রতি আহ্বান, আপনারা মূল্য তালিকা দেখে বাজার করুন। বাজারে সকল পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে।

“নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত নেওয়া হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের আইন অনুযায়ী জেল ও জরিমানা করা হবে। অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিবেক জাগ্রত হোক।”

এ অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অভিযোগে দুটি মুদি দোকানকে ১৫ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।

এছাড়া ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় দুই জনকে মোট ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। পণ্যের গায়ে লেবেল না থাকায় দুটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট।

কাঁচাবাজারে যাওয়ার আগে উত্তরার শাহজালাল এভিনিউ হয়ে রাজউক কলেজ রোডে যান আতিকুল ইসলাম। সেখানে রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ দোকান দেখে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেন।

পরে ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার রাস্তা ও ফুটপাত থেকে প্রায় ৩০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করেন।

বাজার পরিদর্শন শেষে মেয়র চলে যাওয়ার পরও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে। এ সময় ধূমপানের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অভিযোগে উত্তরার মীনা বাজারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ডাল, রসুন ও আদার দাম নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি নেওয়ায়, পণ্যের মোড়কে বিএসটিআইয়ের সিল না থাকায় মীনা বাজারকে ভোক্তা অধিকার আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে কাঁচামরিচ ও বেগুন বিক্রিসহ অন্যান্য কারণে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় মীনা বাজারকে।